Tuesday, 2025-07-01, 10:52 PM
Welcome Guest | Sign Up | Login

My site

Site menu
Calendar
«  July 2025  »
SuMoTuWeThFrSa
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 1
    Guests: 1
    Users: 0

    আয়াতুল কুর্সির ফজিলত।

    শয়তান একজন মিথ্যুক হওয়ার পরেও মাঝে মাঝে ভালো কথা ও সত্য বলে। 
    আয়াতুল কুর্সির ফজিলত।
    আবু হুরায়রা (রাঃ) একদিন দেখতে পেলেন একজন আগন্তুক সদকার মাল চুরি করতেছে তখন তিনি আগন্তুকের হাত ধরে বললেন, "আল্লাহর কসম ,আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূলের কাছে নিয়ে যাব ”।তখন আগন্তুক বলে যে সে খুব অভাবী আর তার অনেক প্রয়োজন ।তাই দয়া করে আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে ছেড়ে দিলেন । পরদিন সকালে রাসূল (সাঃ) এর কাছে আসার পর তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন "গতকাল তোমার অপরাধী কি করছে ?” আবু হুরায়রা (রাঃ)তখন তাকে ক্ষমা করার কথা বললেন । রাসূল (সাঃ) বললেন , "অবশ্যি সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার আসবে ।”

    পরদিন আবু হুরায়রা (রাঃ) চোরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন আর যখন সে আবার ও চুরি করতে আসল তখন তিন তাকে পাকড়াঁও করলেন আর বললেন "এবার অবশ্যই ,আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূলের কাছে নিয়ে যাব ।” এবার ও সেই চোর বলে যে সে খুব অভাবী আর তার অনেক প্রয়োজন আর শপথ করে যে আর আসবে না ।পরদিন আবার ও রাসূলের তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি একই জবাব দেন আর তখন তিনি বলেন, " আসলেই সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার ... আসবে ।”

    পরদিন ও আবার আবু হুরায়রা (রাঃ) চোরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন আর যখন সে আবার ও চুরি করতে আসল তখন তিন তাকে পাকড়াঁও করলেন আর বললেন "এবার অবশ্যই ,আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূলের কাছে নিয়ে যাব ।তুমি বার বার শপথ কর আর চুরি করতে আসে ।” চোর যখন দেখল এবার সে সত্যিই রাসূল (সাঃ) এর কাছে নিয়ে যাবে তখন অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলে , "আমাকে মাফ কর ।আমি তোমাকে এমন কিছু বলে দিব যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করবেন ।” আবু হুরায়রা (রাঃ) সেটা জানতে চাইলে চোর বলে ; "যখন ঘুমাতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসী (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল……) পড়ে ঘুমাবে তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য একজন পাহাড়াদার নিযুক্ত করবে যে তোমার সাথে থাকবে আর কোন শয়তান সকাল পর্যন্ত তার কাছে আসতে পারবে না ।” এটা শুনে আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে ছেড়ে দিলেন ।

    পরদিন রাসূল (সাঃ) আবার অপরাধীর কথা জানতে চাইলে তিনি আগের রাতের কথা বললেন ।তখন রাসূল (সাঃ) বললেন ; " যদিও সে চরম মিথ্যাবাদী কিন্তু সে সত্য বলেছে ।” রাসূল (সাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বললেন ;"তুমি কি জান সে কে ?” আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন ; " না ।”
    রাসূল (সাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বললেন , "সে হচ্ছে শয়তান ।”

    সহীহ বুখারী।

    প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জন্য জান্নাতে যেতে আর কোনো বাধা থাকেনা মৃত্যু ব্যতীত| (নাসাই)

    আল্লাহু লা– ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাওম। লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্।মান জাল্লাজী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু– ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া' লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খাল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম মিন ইল্ মিহি– ইল্লা বিমা সা–আ-’ ওয়াসিয়া কুরসি ইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিউল আজীম।
    রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক ফরয ছালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোন বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতীত’ (নাসাঈ)। শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযু্ক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হ’তে না পারে’ (বুখারী)।

    [ নাসাঈ কুবরা হা/৯৯২৮, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২; মিশকাত হা/৯৭৪, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-১৮; মুসলিম, বুখারী, মিশকাত হা/২১২২-২৩ ‘কুরআনের ফাযায়েল’ অধ্যায়-৮ ]

    اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
    ...
    আয়াতুল কুরসী : আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা তা’খুযুহু সেনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতে ওয়ামা ফিল আরয। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইন্দাহূ ইল্লা বিইয্নিহি। ইয়া‘লামু মা বায়না আয়দীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম্ মিন ‘ইল্মিহী ইল্লা বিমা শা-আ; ওয়াসে‘আ কুরসিইয়ুহুস্ সামা-ওয়া-তে ওয়াল আরয; ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ুল ‘আযীম (বাক্বারাহ ২/২৫৫)।

    অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হ’তে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসী সমগ্র আসমান ও যমীন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।

    ইবনু কাছীর বলেন, সঠিক কথা এই যে, কুরসী ও আরশ পৃথক বস্ত্ত এবং আরশ কুরসী হ’তে বড়, বিভিন্ন হাদীছ ও আছার থেকে যা প্রমাণিত হয়’ (ঐ, তাফসীর)। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কুরসীর তুলনায় সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী ময়দানে পড়ে থাকা একটি ছোট লোহার বেড়ীর ন্যায়। আরশের তুলনায় কুরসী একই রূপ ছোট হিসাবে গণ্য। - ইবনু কাছীর, তাফসীর বাক্বারাহ ২/২৫৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৯।


    ০দরূদ শরীফ পড়ার গুনাগুন ও উপকারীতা০

    দরূদ শরীফের উপকারীতা অসংখ্য। দরূদ শরীফ পড়ার সবচেয়ে বড় উপকারীতা হচ্ছে, যে ব্যক্তি একবার রসুলুল্লাহ ( স. ) এর প্রতি দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির প্রতি দশবার দরূদ পাঠান এবং ঐ ব্যক্ত... ির জন্য দশ প্রকার সম্মান সমুন্নত হয়, ১০টি পূণ্য লেখা হয়, ১০টি পাপ মোচন হয়। এছাড়াও

    - রসুলুল্লাহ ( স. ) এর শাফায়াত ঐ ভ্রক্কির জন্য আবশ্যক হয়ে যায়।

    - কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি রসুলুল্লাহ ( স. ) এর সঙ্গে থাকবে।

    - ইচ্ছা ছাড়াও দরূদ শরীফ পড়লে দ্বীণ-দুনিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, গুনাহ মাফ হয়।

    - দরূদ শরীফ পড়লে তা সদকায় রূপান্তরিত হয়।

    - এর বরকতে কষ্ট ও কাঠিন্য বিদূরীত হয়, রোগমুক্তির ভাগ্য হয়।

    - দরূদ পাঠকের জন্য সর্বদা ফেরেশতাগণ রহমত কামনা করেন এবং অন্তর পরিশুদ্ধ হয়, বাড়ি ও সম্পদে বরকত হয়।

    - দরূদ শরীফ পাঠকের বংশে কয়েক পুরুষ পর্যন্ত বরকতের প্রভাব বজায় থাকে।

    - মৃত্যুর আযাব হতে পরিত্রাণ পান, কিয়ামতের ভয়ানক অবস্থায় নিশ্চিন্ত থাকে।

    - এর বরকতে দারিদ্রতা বিদূরীত হয়।

    - যে সমাবেশে দরূদ পড়া হয় আল্লাহ তায়ালার রহমত তাকে ঢেকে নেয়।

    - কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ ( স. ) এর মুসাফাহার সৌভাগ্য হবে, ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে নেকী ও মাগফেরাত কামনা করবে।
    রাসুলের জন্য আল্লাহ সর্বোচ্চ প্রসংশিত স্থান (মাকামে মাহমুদ) ঠিক করে রেখেছেন। তার নিজের জন্য কোন দোওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আল্লাহ তার রাসুলকে সবচে বেশি ভালবাসেন। তাই কেউ তার ভালবাসার মানুসের জন্য ভালবাসা প্রকাশ করলে (দরুদ পড়লে) তিনি খুশি হন। আর তারই প্রতিদান দেন তিনি বিভিন্ন ভাবে।

    আর যে কেউ রাসুল কে সালাম দিলে - সে সালাম তার কাছে পৌছে যায়। তখন রাসুল সেই সালামের উত্তর দেন। যা আমাদের জন্য রহমত হয়ে দাড়ায়।

    রাসুল (সাঃ) তাঁর উপর দুরুদ পাঠের ফজীলত বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাঃ) বলেছেন- "যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে (তার বিনিময়ে) সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ দশটি রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ মোচন করেন এবং তাকে দশটি মর্যাদায় উন্নীত করেন।” [সহীহ নাসাঈঃ ১২৩০]