Thursday, 2025-07-03, 8:54 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login
|
My site |
Calendar |
---|
« January 2013 » |
Su |
Mo |
Tu |
We |
Th |
Fr |
Sa |
| | 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 | 31 | |
Statistics |
---|
Total online: 2 Guests: 2 Users: 0 |
|
Blog
Main » 2013 » January » 03 » স্মরণার্থে, ''সম্মানার্থে'' এদের প্রতিকৃতি নির্মান কর। যাতে তাদের প্রতিকৃতি দেখলে তাদের কথা স্মরণ হয়,
8:07 AM স্মরণার্থে, ''সম্মানার্থে'' এদের প্রতিকৃতি নির্মান কর। যাতে তাদের প্রতিকৃতি দেখলে তাদের কথা স্মরণ হয়, |
নুহ (আঃ) এর সম্প্রদায়ে বেশ কিছু পুন্যবান ব্যক্তি মারা গেলে শয়তান তাদের সম্প্রদায়ের কাছে এসে প্রথমে বলে যে এদের ''স্মরণার্থে, ''সম্মানার্থে'' এদের প্রতিকৃতি নির্মান কর। যাতে তাদের প্রতিকৃতি দেখলে তাদের কথা স্মরণ হয়, তারা যে অনেক ঈমানদার ছিল তা যেন স্মরণ হয়ে তারাও বেশি ইবাদত করতে পারে।
তখন সম্প্রদায় ওই পুন্যবান লোকদের সম্মানার্থে '' প্রতিকৃতি'' নির্মান করে।
এভাবে কয়েকযুগ পার হবার পরে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শয়তান আগমন করে। সেই প্রজন্মের কাছে শয়তান এসে বলে তোমাদের পূর্ব পুরুষেরা এই পুন্যবান ব্যক্তিদের প্রতিকৃত সম্মান করত, তাদের কাছে চাইত ।
এভাবে শয়তান সেই প্রজন্মকে আরো গভীর শিরকে পতিত করে। সেই সম্প্রদায় ওই পুন্যবান লোকদের প্রতিকৃতির সম্মান জানানো শুরু করে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের কাছে চাইতে শুরু করে।
এর তার পরবর্তী প্রজন্মকে সম্পূর্ণ গোমরাহী করে সরাসরি মূর্তি পূজায় লিপ্ত করিয়ে ছারে।
আজকে আপনি খোজ নিন । সম্ব্ভবত গত বছর একটি চ্যানেল এ একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল যে এই প্রজন্মের মডার্ন ছেলেপুলেরা জানেই না ভাষা আন্দোলন কি! শহীদ মিনার কি! কেন শহীদ মিনারে ফুল দেয় ! তারা জানেই না ! লাইভ ভিডিও ইউতিউব এ এখনো আছে!
এই এদের কাছেই যখন বলা হয় এগুলো শিরক তখন এরা তর্ক করে!
আরে বিটা তুমি জানিনা ২১ সে ফেবৃয়ারী কি হইছে কেন ফুল দেয়। তুমি জনই না ইসলাম কি শিরক কি কুফরী কি।
তুমি কিভাবে তর্ক কর এই তা শির্কনা এই না সেই না ? এগুলো হচ্ছে অজ্ঞতার পরিচয়।
তত্কালীন আরবরা জাহেল ছিল ''আল্লাহর একত্ববাদ থেকে''। তারা অনেক শিক্ষিত ও পন্ডিত ছিল । অনেক বড় বড় কবি ছিল তাদের মধ্যে। বড় বড় ব্যবসায়ী ছিল । তাদেরকে জাহেল বলা হয় শুধুমাত্র ''আল্লাহ' সম্পর্কে অন্ধকারে থাকার কারণে।
আজকে আমাদের সমাজের অবস্থা ঠিক তদ্রুপে পৌছাচ্ছে।
প্রধান মন্ত্রী তার বাবার প্রতিকৃতিতে ফুল দিচ্ছেন। জাফর ইকবাল স্যারেরা মোমবাত্তি জ্বালিয়ে মৃতদের স্মরণের নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিরোধী দলীয় নেত্রী স্বামীর কবরে হরহামেশাই যাচ্ছেন অথচ মহিলাদের কবর জিয়ারতে যাওয়া কঠোরভাবে ইসলামে নিষিদ্ধ।
আজকে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানের জন্য প্রতিকৃতি বানানো হচ্ছে এবং সেই প্রতিকৃতিকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। শয়তান পরবর্তী প্রজন্মের অনেকের কাছে এই প্রতিকৃতি পূজার দিকে আকৃষ্ট করবে এবং করবেই। শহীদ মিনারের বেদিকে আদালত ''পবিত্র'' ঘোষণা দিয়েছে! পত্রিকা ওয়ালারা মাঝে মধ্যেই এই ''পবিত্র'' স্থানের পবিত্রতার বর্ণনা লিখেন। জিয়া উদ্যানে কবর থাকার পরেও সেখানে গানের, নাটকের, মডেলিং এর শুটিং হচ্ছে। একটি অন্যতম ডেটিং স্পস্ট হিসেবে এই মাজার এলাকা খ্যাতি অর্জন করছে!
আগে বুঝিনি। এখন বুঝি। বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা একসময় দিয়েছি সেখানে। অথচ পাশেই কবর। আড্ডা হই হুল্লোরের ঠ্যালায় একবার কবর জীবনের কথা স্মরনীয় আসে নাই।
কুরানে সুরা নুহে আল্লাহ নুহ (আঃ) এর সম্প্রদায়ের বর্ণনা লিখেছেন তাফসির গ্রন্থে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
আজকে যখন আমরা বা আমাদের মত অনেকেই শহীদ মিনারের শিরক স্মৃতি সৌধের শিরক মোমবাত্তি জ্বালানোর শিরক নিয়ে লিখি বা বলি তখন ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা আমাদের কাছে খুব অবজ্ঞা ভরে প্রশ্ন করে তারা তো পূজার জন্য এগুলো করছে না, তারা করছে শহীদদের স্মরণে, মৃতদের স্মরণে।
এ তো হুবুহু নুহ (আঃ) এর সম্প্রদায়ের অনুসরণ।
অথচ ইসলামে মৃতদের স্মরণের জন্য দুআ করতে বলা হয়েছে। ইসলাম বলেছে একটা আর তারা মুসলমানের সন্তান হয়ে ইসলামের পদ্ধতি ছেড়ে নিজেরা পদ্ধতি বানিয়ে নিয়ে বলছে এটাই ''ভালো'' পদ্ধতি। শিক্ষার নামে শিক্ষক হয়ে জাফর ইকবালরা ছাত্রদেরকে শিরক কুফরীর দিকে ''যুক্তি'' দিয়ে ধাবিত করছেন।
নৌমন্ত্রীর কথানুযায়ী শেখ হাসিনা নাকি ইসলামের বড় খেদমত্কারী! বাবার প্রতিকৃতি ''নির্মান'' কি ইসলামের খেদমত নাকি উল্টো যত মূর্তি রাস্তার মোড়ে মোড়ে বানানো আছে (মন্দিরেরগুলো নয়) সেগুলো ভাঙ্গা ইসলামের খেদমত?
আজকে স্মরণার্থে - সম্মানার্থে প্রতিকৃতি বা মূর্তি নির্মান। প্রতিকৃতি মূর্তির গোড়ায় ডজন খানেক ডিগ্রির অধিকারী প্রধানমন্ত্রী ''ফুল'' দেয়া ইসলামের খেদমত?
এই হচ্ছে বিদ্যার অবস্থা । কিয়ামতের পূর্ব লক্ষণ বিদ্যা উঠে যাবে মুর্খতা বৃদ্ধি পাবে।
আজকে ফুল দেয়া হচ্ছে মূর্তি প্রতিকৃতি বা স্তম্ভের সামনে মাথা নুয়ে। তারপর এক সময় হয়ত ''জাপানিদের'' মত ''রুকু দিয়ে'' সম্মান দেওয়া শুরু হবে। তারপর ভারতের হিন্দুদের মত ''সিজদা'' (পূজা) করা শুরু হবে। সবই হবে ''মডার্ন ইসলাম এর নামে'' ! অথচ প্রকৃত ইসলাম সুদূরে চলে যাচ্ছে।
আমাদের কাজ বুঝানো বা বুঝানোর চেষ্টা করা। এই সকল পাথর পূজা ''যেই নামেই করা হোক, সম্মানের জন্য করা হোক বা শ্রদ্ধা দেখানোর মাধ্যম হিসেবে করা হোক'' - এগুলো শিরক। শিরকের পথ।
অনেকে বলেন আমরা তো পূজার ''নিয়তে' করি না।
কি আশ্চর্য মূর্তির সামনে মাথা নুয়ে ফুল দিবেন এতে ''নিয়ত'' করা না করা কি? তাহলে কি কালী, দূর্গা, স্বস্বতির পায়ের গোড়ায় ''পূজার নিয়ত'' না করে মাথা নুয়ে ফুল দিলে সেটা কি ''পূজা'' হবে না?
তফাত কোথায়?
জ্বী আপনার শিক্ষায় ত্রুটি আছে মারাত্মক ত্রুটি।
হতে পারে আপনি দুনিয়ার বিষয়াদিতে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ! কিন্তু ইসলামের বিচারে আপনার শিক্ষায় মারাত্মক ত্রুটি। আপনাকে এই বিষয়ে নজর দেয়ার আহবান রইলো। যাচাই করার, স্টাডি করার আহবান রইলো।
মহান আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন। শিরক এর ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে আমাদের ও আমাদের দেশকে হেফাজত করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
|
Views: 405 |
Added by: Jahir
| Rating: 0.0/0 |
|