Wednesday, 2025-07-02, 9:42 PM
Welcome Guest | Sign Up | Login

My site

Site menu
Calendar
«  December 2012  »
Su Mo Tu We Th Fr Sa
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031
Entries archive
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 1
    Guests: 1
    Users: 0

    Blog

    Main » 2012 » December » 25 » বালীর স্ত্রী বললেন : মোর স্বামীর পরানডা কি আছে?
    7:56 PM
    বালীর স্ত্রী বললেন : মোর স্বামীর পরানডা কি আছে?
    ‘মোর স্বামীর পরানডা কি আছে? আমনেগো পায় ধরি, মোর স্বামীরে আইন্যা দেন। মোরে এটটু ঢাকা লইয়াযান। মুই যামু।’
    আজ বিকালে দৈনিক নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে ফোন করা হয় অপহরণের শিকার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর স্ত্রী আরতী রানী বালীর কাছে। সুখরঞ্জন বালীর কোনো খোঁজ পেলেন কি-না, আপনাদের এখন কি অবস্থা এসব প্রশ্ন করতেই কান্নার সুর ভেসে আসতে থাকে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে। কান্না আস্তে আস্তে বিলাপে পরিণত হয়। বিলাপ করতে করতে আরতী রানী বারবার একটা কথাই বলতে লাগল ‘মোর স্বামীরে আইন্যা দেন, মোর স্বামীরে আইন্যা দেয়ার ব্যবস্থাকরেন। মোর স্বামীর পরানডা কি আরআছে? মোরে এটটু খবর দেন।’
    আরতী রানী কাঁদতে কাঁদতে আরো বলেন, ‘ক্যান যে হে সাক্ষ্য দেতে গেল। আগেই বাড়ি আইয়া লোকজন কইছিলসাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেলে তোরা বাঁচতে পারবি না। শেষ পর্যন্ত কিহেইয়্যাই (তাই) আইল। ৩ তারিখ গেল ঢাকা। ৫ তারিখ ধইর‌্যা লইয়া গেল।আর কোনো খবর পাইলাম না।’
    আপনারা কোনোভাবে খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কি-না বা কেউ কোনো খবর দিয়েছে কি-না জানতেচাইলে আরতী রানী বলেন, ‘মোরা মুর্খ মানুষ। কোথায় কার কাছে কি খোঁজ নিমু। কারে জিগামু। কে দেবে মোর স্বামীর খবর। মুই পইর‌্যা আছি বিছানায়। কাসতে কাসতে মোর জীবন যায়। মোর অসুখ।’
    আপনাদের আয় রোজগার কি, সংসার কিভাবে চলছে জানতে চাইলে আবার কান্না জুড়ে দিয়ে বলেন, সংসার আরচলে না। মাইয়ার জামাই ৫ কেজি চাউল দেছে। বুইনে দেয় মাঝে মাঝে,ভাইয়ে দেয়। মাঝে মাঝে অন্যরা দুয়েক কেজি চাউল লইয়া আয়। এইভাবেআর কয়দিন চলবে।’
    সুখরঞ্জন বালী কি করত জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিস্ত্রির কাজ করত। এই দিয়ে সংসার চলত। আবার কান্নার সুর তুলে ুিতনি বলতে লাগলেন ‘ঘর বানাইছে কিন্তু ঘরে রইতে পারলনা। মানুষটা কই চইল্যাগেল। আমনোগো পায়ে ধরি, মোর স্বামীরে আইন্যা দেন। আর কিছু চাই না।’
    ছেলে মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আরতী রানী বলেন, এক ছেলে এক মেয়ে।মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলের বয়স ১৭/১৮ বছর।
    গত ৫ নভেম্বর সুখরঞ্জন বালী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীরপক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাকে অপরহণ করে । মাওলানা সাঈদীর পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এ ঘটনা সাথে সাথে ট্রাইব্যুনালকে (১) অবহিত করে আসামিপক্ষ। ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে এ বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্যনির্দেশ দেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি ট্রাইব্যুনালে এসে জানান তিনি দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ নিয়ে আলাপ করেছেন। তারা জানিয়েছেন এ ধরনের কোন ঘটনার খবর তারা জানেন না। ট্রাইব্যুনালের গেটে এ জাতীয় কোন ঘটনাই ঘটেনি। এভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরনের দায়িত্ব অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে গেল।
    তারপর থেকে আজ অবধি নিখোঁজ সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী।
    সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী। কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য না দিয়ে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। বালীর বড় ভাই বিশাবালী ১৯৭১ সালে শহীদ হয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজ হবার আগে বালী একটি টিভিতে প্রদত্ত সাক্ষাৎকার দিয়ে বলে গেছেন পাকিস্তান আর্মি তার ভাইকে মেরেছে। তার ভাইকে ঘর থেকে ধরে নেয়া এবং হত্যার সময় সাঈদী সাহেব ছিলনা।
    গত পাঁচ নভেম্বর মাওলানা সাঈদীপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, মনজুর আহমদ আনসারী, হাসাুল বান্না সোহাগের সাথে একই গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালে আসছিলেন সুখরঞ্জনবালী। সেদিন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন ছিল। বালীকে অপরহন করে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরাজানান, তাদের বহনকারী গাড়িটি ট্রাইব্যুনালের গেটে পৌঁছলে গাড়ি থামিয়ে তাদের সামনেই বালীকে গাড়ি থেকে নামায় পুলিশের লোকজন। এরপর তাকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দুই দিক থেকে দুই হাত ধরে টেনে দূরে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশের লোকজন।
    বিভিন্ন সূত্র থেকে জানানো হয়েছে অপহরণের পর দুবার তাকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অসুস্থ অবস্থায়। কিন্তু সর্বশেষ সুখরঞ্জন বালী কোথায় কী অবস্থায় আছে তার খোঁজ খবর কেউ বলতে পারেনি। মানবাধিকার সংস্থারও কেউ এগিয়ে আসেনি বালী বা তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ঢাকায় একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রধানকে ফোন করা হলে তিনি বিরক্তসহকারে বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। এ নিয়ে আমরা কোনো খোঁজ রাখি না। কিছু জানি না। আমাকে মাফ করবেন, কিছু মনে করবেন না, আমি এ নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না।’
    Views: 270 | Added by: Jahir | Rating: 0.0/0
    Total comments: 0
    Name *:
    Email *:
    Code *: