মহানবী (সাঃ) বলেছেন,"'প্রতিটি শিশুই ফিতরাতের (ইসলাম) ওপর জন্মগ্রহণ করে। তারপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদী, খ্রীষ্টান অথবা অগ্নিপূজক বানায়"। ...............................(মুত্তফাক্ব আলাইহ; মিশকাত হাদিস/৯০।)
আপনার স্ত্রীকে শ্রদ্ধা করুন। তাহলে, কোন একদিন আপনার কন্যাকেও কেউ একজন অনুরূপ শ্রদ্ধা করবে।
রাসূল (সাঃ) বলেন, যখন স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সাথে প্রেম চাহনির বিনিময় করে তখন আল্লাহ পাক উভয়ের দিকে করুনার দৃষ্টি দেন। অতঃপর যখন স্বামী স্ত্রীর হাত ধারন করে তখন তাদের আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে পাপরাশি ঝরে পড়ে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার সালাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি তা যথাযথ হয়, তবে সে সফল হলো এবং মুক্তি পেল। যারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, "সুতরাং দুর্ভোগ সে সব নামাযীর জন্য, যারা তাদের নামাযের ব্যাপারে উদাসীন।" (সুরা মাউন ৪-৫
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ "রহমকারীদের প্রতি মহান দয়াময় আল্লাহ রহম ও দয়া করেন। দুনিয়াতে যারা আছে তাদের প্রতি তোমরা দয়া করো, তাহলে আসমানে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের রহম করবেন।" (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী ও হাকেম)। যখন রমজান আসে বেহেশতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকল পড়িয়ে দেয়া হয়। [ বুখারি ও মুসলিম]
তোমার রব আদেশ করছেন, তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারও ইবাদত করো না এবং তোমরা (তোমাদের) পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করো; তাদের একজন কিংবা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহলে তাদের সঙ্গে বিরুক্তিসূচক কিছু বলো না এবং কখনও তাদের ধমক দিও না, তাদের সঙ্গে সম্মানজনক ভদ্রজনোচিত কথা বলো। অনুকম্পায় তুমি তাদের প্রতি বিনয়াবনত থেকো এবং বলো, হে আমার রব! তাদের ওপর তুমি (ঠিক সেভাবেই) দয়া করো, যেমনিভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছিলেন।" ....................................সূরা বনী ইসরাইল ২৩-২৪।
বিশ্বাসী পুরুষ ও নারী পরস্পর পরস্পরের রক্ষাকর্তা, তারা ন্যায় কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজের নিষেধ করে, তারা নিয়মিত সালাত কায়েম করে, যাকাত দান করে, এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এদের উপরেই আল্লাহ্ তাঁর অনুগ্রহ বর্ষণ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" ........................................(সুরা তাওবা; আয়াতঃ ৭১) —
|