Tuesday, 2025-07-01, 8:22 PM
Welcome Guest | Sign Up | Login
|
My site |
Statistics |
---|
Total online: 1 Guests: 1 Users: 0 |
|
Blog
Main » 2012 » December » 26 » কেন "অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনার পরেও মুশরিক"? আসুন জেনে নেই, শিরকের ৯ টি বিশেষ বিশেষ প্রকাশ
7:33 AM কেন "অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনার পরেও মুশরিক"? আসুন জেনে নেই, শিরকের ৯ টি বিশেষ বিশেষ প্রকাশ |
কেন "অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনার পরেও মুশরিক"? আসুন জেনে নেই, শিরকের ৯ টি বিশেষ বিশেষ প্রকাশ
১। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে প্রার্থনা করা
এ বিষয়টি সাধারণত: মীলাদুন্নবী ও এ জাতীয় অনুষ্ঠানাদিতে নৃত্য-গীত ও কবিতা- কাওয়ালির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ...See More ►►► কেন "অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনার পরেও মুশরিক"? আসুন জেনে নেই, শিরকের ৯ টি বিশেষ বিশেষ প্রকাশ
১। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে প্রার্থনা করা
এ বিষয়টি সাধ...ারণত: মীলাদুন্নবী ও এ জাতীয় অনুষ্ঠানাদিতে নৃত্য-গীত ও কবিতা- কাওয়ালির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। (লেখক বলেন) আমি একবার কাউকে বলতে শুনেছিলাম, হে রাসূলদের ইমাম! হে আমার নেতা! আপনি আল্লাহ তাআলার দরজা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে আমার ভরসাস্থল। হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে নিজ হাতে ধরে নিন। আমার বিপদ দুর করে সু-দিন আনতে আপনি ছাড়া আর কেউ পারবে না। আবার কেউ কেউ বলে, হে সমস্ত হযরতদের মাথার মুকুট, ইত্যাদি। যদি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব কথা নিজে শুনতেন, তাহলে অবশ্যই নিজেকে তা থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা করতেন। কারণ, দুর্দিনকে সু-দিনে পরিণত করতে আল্লাহ ছাড়া কেউ পারে না। দৈনিক সংবাদপত্র, মাসিক ম্যাগাজিন, এমনকি বই-পুস্তকেও এ জাতীয় অনেক কবিতা-গজল-কাওয়ালি লিখে প্রচার করা হয়। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে প্রার্থনা করার বিষয়টি যেমন, রাসূলুল্লাহ, বিভিন্ন ওলী-আওলিয়া ও নেককার লোকদের কাছে সাহায্য চাওয়া, তাদের কাছে বিপদাপদ হতে মুক্তি প্রার্থনা করা ও শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় কামনা করা ইত্যাদি।
২। আওলিয়া ও নেককার লোকদের মসজিদে কবর দেয়া
বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে এমন অনেক মসজিদ দেখা যায়, যাতে কবর আছে। তার উপর গম্বুজ, কুব্বা ইত্যাদি তৈরী করা হয়েছে। অনেক লোক আল্লাহকে বাদ দিয়ে প্রার্থনার জন্য সেসব কবরস্থ ব্যক্তি বর্গের কাছে যেতে চায়।
এ ব্যাপারে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বলেন :
অর্থাৎ, ইয়াহুদি ও খ্রীষ্টানদের উপর আল্লাহ তাআলার অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে (সেজদার জায়গা) মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে। ( বুখারি ও মুসলিম)
নবীদেরকে মসজিদে দাফন করা যদি ইসলামি রীতি বিরুদ্ধ, কাফেরদের অভ্যাস ও বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকে। তাহলে সেখানে আওলিয়া ও পীরদের দাফন করা জায়েয হয় কিভাবে ? বিশেষ করে আল্লাহ ব্যতীত এ সব লোকদের নিকট প্রার্থনা করা হলে শিরক হবে মর্মে জানা থাকার পরও।
৩। আওলিয়াদের নামে মান্নত করা, নযর-নেয়ায দেয়া
কোনো কোনো ব্যক্তি গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, টাকা-পয়সা ইত্যাদি নির্দিষ্ট ওলীকে নযর দেয়। তার নামে মান্নত করে। এই নযর দেয়া শিরক। কারণ, নযর দেয়া ইবাদত। যা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হতে হবে। সুতরাং এ ব্যাধি থেকে বিরত হওয়া অতীব জরুরী।
৪। নবী ও আওলিয়াদের কবরের কাছে জবেহ করা
যদিও জবেহ আল্লাহর নামেই করা হয়। কারণ, এটি মূলত: মুশরিকদের কাজ। তারা তাদের যেসব ওলীদের মূর্তি বানিয়ে পূজা করত, তাদের মাজারে পশু নিয়ে জবেহ করত। আর যদি আল্লাহ ব্যতীত তাদের নামে জবেহ করা হয় তাহলেতো শিরক হবার ব্যাপারে কোনো সন্দেহই থাকে না।
৫। নবী ও ওলীদের কবরের তাওয়াফ করা
যেমন আব্দুল কাদের জিলানী রহ. মাঈনুদ্দিন চিশতী রহ. প্রমুখ। কারণ, তাওয়াফ হচ্ছে নির্দিষ্ট ইবাদত, যা কাবার চারপার্শ্বে ছাড়া অন্যত্র জায়েয নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : অর্থাৎ, তারা যেন প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে। (সূরা হজ্জ : আয়াত ২৯)
৬। কবরের উপর সালাত আদায় করা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
অর্থাৎ, তোমরা কবরের উপর বস না এবং তার উপর সালাত আদায় কর না। (মুসলিম)।
৭। বরকত লাভের আশায় কবর ও মাজারের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা, কিংবা সেখানে গিয়ে সালাত আদায় করা
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
অর্থাৎ, তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো দিকে ভ্রমণ করা যায় না, মসজিদুল হারাম, আমার এ মসজিদ এবং মসজিদুল আকসা। (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং মদীনা শরীফ যিয়ারতের ইচ্ছা হলে আমরা নিয়ত করবো এ বলে, মসজিদে নববী যিয়ারতের জন্য যাচ্ছি ।
৮। আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত আইন ছাড়া ভিন্ন আইনে শাসন ও বিচারকার্য পরিচালনা করা :
যেমন, জায়েয জ্ঞান করে কোরআন ও সহিহ হাদিসের মর্ম পরিপন্থী মানুষের বানানো আইন দ্বারা বিচার ও শাসন কার্য পরিচালনা করা। অনুরূপভাবে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, অনেক আলেম নামধারী ব্যক্তিবর্গ কোরআন ও হাদিসের বিপরীতে ফতোয়া দিয়ে থাকে। যেমন, অনেক স্থানে স্থানীয় আলেমরা সূদকে হালাল বলে ফতোয়া দিয়েছে, অথচ আল্লাহ সূদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
৯। কোরআন ও সহিহ হাদিসের বিপরীতে নেতৃবর্গ, আলেম-ওলামা বা পীর-বুজর্গদের আনুগত্য করা।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন :
অর্থাৎ, স্রষ্টার অবাধ্য হয়ে সৃষ্টির আনুগত্য করা চলবে না। (আহমদ)। আল্লাহ তাআলা বলেন :
তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের পণ্ডিতগণ ও সংসার-বিরাগীদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং মারইয়ামপুত্র মাসীহকেও। অথচ তারা এক ইলাহের ইবাদত করার জন্যই আদিষ্ট হয়েছে, তিনি ছাড়া কোন (হক) ইলাহ নেই। তারা যে শরীক করে তিনি তা থেকে পবিত্র। (সূরা তাওবা: আয়াত ৩১)
হুযাইফা রা. তাদের ইবাদতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, তাদের আলেমরা যা হালাল করত তারাও তা হালাল বলে মেনে নিত অনুরূপভাবে যা হারাম করত, তারাও তাকে হারাম জ্ঞান করত। ব্যাপারটি আল্লাহর হুকুমের বিপরীত হলেও তারা তা-ই করত।
উৎসঃ মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় মুহাম্মদ বিন জামীল যাইনূ অনুবাদ : ইকবাল হোছাইন মাছুম
|
Views: 447 |
Added by: Jahir
| Rating: 0.0/0 |
|