Tuesday, 2024-04-30, 7:01 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login

My site

Site menu
Calendar
«  April 2024  »
SuMoTuWeThFrSa
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 1
    Guests: 1
    Users: 0

    নামাজ আদায় করার সময়

    সহীহ সুন্নাত সম্মন্ধে আমাদের অজ্ঞতার কারণে আমরা সুন্নাতের বিপরীত কাজে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছি। মসজিদে জামায়াত দাঁড়িয়ে গেলে দেখা যায় অনেক মুসল্লী দৌড় দিয়ে নামাযে শরীক হন। ইমাম রূকুতে চলে গেলে দৌড়ে গিয়ে যে কোন উপায়ে সেই রাকায়াত ধরা আমাদের স্বাভাবিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ ধীর স্থির ভাবে এসে নামাযে শরীক হওয়াই সুন্নাত◄

    আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তোমরা ইকামত শুনতে পাবে, তখন সালাতের দিকে চলে আসবে, তোমাদের উচিৎ ধীরস্থিরতা ও গাম্ভীর্য বজায় রাখা, তাড়াহুড়া করবে না। ইমামের সাথে যতটুকু পাও তা আদায় করবে, আর যা ছুটে যায় তা পূরা করে নিবে। [সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬০৮]

    মহান আল্লাহ বলেন ,
    "নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে” । (সূরা নিসা : ১০৩)

    "ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামজের মাধ্যমে অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।" (বাক্বারাহ ৪৫)
    "নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে ।" [সূরা আল আনকাবূত ৪৫]

    আপনি কি মুসলিম?
    আপনি যদি নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তাহলে ৫ ওয়াক্ত ফরয নামায আদায় করার জন্য আপনাকে বলার দরকার নেই। কেন? কারন, আপনি ৫ ওয়াক্ত নামায ফরয জানার পরও যদি ইচ্ছা করে আদায় না করেন তাহলে আপনি মুসলিম না। আর এই অমুসলিম অবস্থায় যদি আপনার মৃত্যু হয় তাহলে নিজেই ভেবে দেখুন আপনার অবস্থা সেদিন (বিচার দিবসে) কি হবে।

    ***সউদি আরবের প্রখ্যাত 'আলিম ও ফকিহ আল্লামা শেখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উথাইমিন(রহিমাহুল্লাহ) কে মৌখিকভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে যারা শুধু শুক্রবারেই (জুমু'আর সলাত) নামায পড়ে তারা কি (রাসুল (স) এর হাদীস অনুযায়ী) কাফির কিনা?
    জবাবে তিনি বলেন,'আমি মনে করি তারা কাফির, কেননা জুমু'আর সালাত সপ্তাহের ৩৫ ওয়াক্ত ফরয সালাতের ১/৩৫ অংশ মাত্র,কাজেই কেউ সপ্তাহে শুধু জুমু'আ পড়ে মানে আসলে সে নামায পড়েই না,আর যে নামা... য পড়েই না (বেনামাযি) সে মুলতঃ কাফির (রাসুল স.এর হাদিস অনুযায়ী)। [শেখ সালিহ আল উথাইমিন,ولم نقف على كلام مكتوب له رحمه الله فيمن يصلي الجمعة فقط ، لكن كنا سألناه عن ذلك مشافهة ، فأجاب بأن الظاهر أنه يكفر ، لأن صلاة الجمعة صلاة واحدة من خمس وثلاثين صلاة في الأسبوع ، فلا يمتنع إطلاق تارك الصلاة على من يصلي الجمعة فقط ، فيكون كافراً .الإسلام سؤال وجواب
    অনুলিখিত]

     
    রাসুল (সাঃ) বলেছেন- "...ধীর স্থির ভাবে সিজদা করবে। এরপর সিজদা থেকে উঠে স্থির ভাবে বসবে এবং পুনরায় সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে।...” (বুখারী ৭৫৭; ইফা)

    দুই সিজদার মাঝে তিনি (সাঃ) প্রায় সিজাদার সমপরিমাণ সময় বসে থাকতেন। এসময় তিনি বলত... েন, "আল্লাহুম্মাগফিরলী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনী, ওয়ারযুকনী, ওয়ারফা’নী”

    অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও, তুমি আমার উপর রহম করো, তুমি আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করো, তুমি আমার জীবনের সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পুরন করে দাও, তুমি আমাকে নিরাপত্তা দান করো এবং তুমি আমাকে রিজিক দান করো, ও আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দাও। [সহীহ আত-তিরমিযী ১/৯০]
     
     
    নামাজ আদায় করার সময় মন-প্রাণ সব আল্লাহ্‌র কাছে সমর্পণ করে কিভাবে নামাজ আদায় করা হয় তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই ধারাবাহিক পর্বগুলোতে ... পোস্টটি নিজ ওয়ালে শেয়ার দিয়ে/ বুকমার্ক করে রাখুন এবং জেনে নিন কিভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভ করা যায় ।

    কিভাবে নামাজের মাধূর্য আস্বাদন করা যায়? পর্ব ২৮ (শেষ পর্ব)

    রাসুল (সাঃ) যদি প্রথম তাশাহুদ পড়ে থাকেন, তাহলে তিনি তৃতীয় রাকা’আতের জন্য তাকবীর দিয়ে (আল্লাহু আকবর বলে) উঠে দাঁড়াতেন। আর যখন তিনি শেষ তাশাহুদ পড়তেন, তিনি তারপর বলতেন,

    اللهم... صلي على محمد وعلى آل محمد كما صليت على إبراهيم وعلى آل إبراهيم إنك حميد مجيد اللهم بارك على محمد وعلى آل محمد كما باركت على إبراهيم وعلى آل إبراهيم إنك حميد مجيد

    আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিওওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা সল্লাইতা ‘আলা ইবরহীমা ওয়া আ-লি ইবরহীম, ইন্নাকা ‘হামীদুম মাজীদ; আল্লাহুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিওওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারকতা ‘আলা ইবরহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইবরহীম, ইন্নাকা ‘হামীদুম মাজীদ।

    "হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন রহমত বর্ষণ করেছ ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরের উপর, নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানী। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর বংশধরের উপর বরকত নাযিল কর, যেমন বরকত নাযিল করেছ ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর বংশধরের উপর, নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানী।” [বুখারী ও মুসলিম]

    এখন চলুন, এর অর্থগুলোর দিকে লক্ষ্য করিঃ

    * মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি রহমতের প্রার্থনা- (ইবনে হাযার এর বর্ণনায়) আপনি আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছেন রাসুল (সাঃ) এর মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেওয়ার জন্য।

    * মুহাম্মাদ (সাঃ) উপর বরকত নাযিলের প্রার্থনা- আপনি আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছেন যেন তিনি রাসুল (সাঃ) এর উপর যে রহমত করেছেন তা আরও বৃদ্ধি করে দেন;

    অর্থাৎ, আল্লাহ যেন মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সেই সব নেয়ামত দান করেন যা কিছু ইবরাহীম (আঃ) কে দান করেছিলেন এবং তা আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেন।

    রাসুল (সাঃ) তাঁর উপর দুরুদ পাঠের ফজীলত বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাঃ) বলেছেন-

    من صلى عليَّ صلاة واحدة، صلى اللَّه عليه عشر صلوات، وحُطت عنه عشر خطيئات، ورُفعت له عشر درجات

    "যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে (তার বিনিময়ে) সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ দশটি রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ মোচন করেন এবং তাকে দশটি মর্যাদায় উন্নীত করেন।” [সহীহ নাসাঈঃ ১২৩০]

    রাসুল (সাঃ) এর উপর দুরুদ পাঠের পর
    যখন মহানবী (সাঃ) একবার একজন লোককে নামাজে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করতে এবং তার পর নবী (সাঃ) এর উপর দুরুদ পাঠ করতে শুনলেন, তিনি বললেন-

    "দু’আ কর, তোমার দু’আর জবাব দেওয়া হবে; প্রার্থনা কর, তোমার প্রার্থনা পূরণ করা হবে।” [নাসাঈ]

    লক্ষ্য করুন, তাশাহুদে কিভাবে দু’আ করার আদব ধারাবাহিকভাবে পালন করা হয় যাতে আমাদের দু’আ কবুল হয়ঃ আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর রাসুল (সাঃ) এর উপর সালাম ও দুরুদ পাঠ, এবং এরপর আমাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে যেন আমরা আমাদের প্রার্থনা করতে পারি, ঠিক যেভাবে করলে আমাদের দু’আর জবাব দেওয়া হবে বলে রাসুল (সাঃ) বলেছেন।

    এর পর তিনি (সাঃ) আমাদের শিখিয়েছেন,

    "তোমরা কেউ যখন তাশাহুদ পড় তখন চারটি জিনিষ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করো। এই বলে দু’আ করবেঃ

    আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিন আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন আযা-বিল ক্ববরী, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল। (অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মসীহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।) [মুসলিমঃ ১২১১; ইফা]

    কারও সাথে দেখা হওয়ার পর বিদায়ের আগে আমরা জিজ্ঞেস করি ‘আমার কাছে কি আরও কিছু প্রয়োজন আছে?’ আল্লাহ্‌র করুণা অসীম। আল্লাহ্‌র সাথে এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের শেষে এই দু’আ চাওয়ার সুযোগ দিয়ে আল্লাহ যেন আমাদের বলেন, ‘আরও কিছু কি আছে চাওয়ার?’

    তাসলীম
    এরপর, রসূল (সাঃ) ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে বলতেনঃ

    السلام عليكم ورحمة الله

    "আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা-হ” অর্থাৎ "(হে মুক্তাদী ও ফেরেশতাগণ) তোমাদের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক” এবং বাম দিকে ফিরেও একই ভাবে একথা বলতেন। [তিরমিযী]

    ডানে ও বামে মুখ ফিরানোর সময় পিছন থেকে রসূল (সাঃ) এর গালের সাদা অংশ দেখা যেত।

    সালামের পর
    সালাম ফিরানোর পর রসুলুল্লাহ (সাঃ) তিনবার ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আমরাও এরূপ করে আমাদের নামাজের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইব। এর পর আরও অনেক দু’আ আছে যা রসূল (সাঃ) আমাদের শিখিয়েছেন।

    কিন্তু, একটা বিষয়ে আমাদের সবার সাবধান থাকা উচিৎ, যে বিষয়ে রসূল (সাঃ)ও আমাদের জন্য আশঙ্কা করতেন। তিনি (সাঃ) বলেছেন-

    لو لم تكونوا تذنبون لخفت عليكم ما هو أكبر من ذلك العُجْب العُجْب

    "তোমরা যদি কোন গুনাহ না ও করতে, আরও একটি বিষয়ে আমি তোমাদের জন্য ভয় করি যা এর চেয়েও বড়; আর তা হল আত্ম-সন্তুষ্টি (‘উজব)” [বায়হাকি]

    অর্থাৎ, এখন যখন আমাদের নামাজের উন্নতি হয়েছে ইন শা আল্লাহ আর আমাদের খুশু বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা যেন কোনভাবেই নিজেদেরকে অন্যের চেয়ে উত্তম বলে ধরে না নেই। ইবনে আল কায়্যিম বলেছেন- আত্মসন্তুষ্টি আমাদের আমলকে বিনষ্টও করে দেয়! আমাদের স্মরন করা উচিৎ আমাদের আগের সেই সব নামাজের কথা যা আমরা কোনরকম যেনতেনভাবে পড়েছি। এবং সবসময় মনে রাখা উচিৎ যে আমরা যা কিছু ভাল করতে সক্ষম, তা সম্পূর্ণ আল্লাহ্‌র রহমতের কারণে। মহান আল্লাহ বলেনঃ

    وما بكم من نعمة فمن الله

    "তোমরা যেসব নিয়ামত ভোগ কর তা তো আল্লাহ্‌রই নিকট হতে…” [সুরা নাহলঃ ৫৩]

    নামাজের সত্যিকারের গপ্তধন ও আনন্দ ভাণ্ডারের তুলনায় এই পর্যন্ত যা কিছু আমরা আলোচনা করলাম, তা আসলে মহাসাগরের তুলনায় একটি পানির ফোঁটার চেয়েও কম।

    আমরা যেন যা কিছু শিখেছি তা আমাদের আমলে পরিণত করতে পারি, আর আমাদের প্রতিটি নামাজকে মহান আল্লাহ্‌র সাথে পবিত্র ও অপূর্ব সাক্ষাৎ বলে অনুভব করতে পারি। আমীন।
    courtesy: www.quraneralo.com
    ...SM...
    http://www.quraneralo.com/khushu-28/

    হযরত হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোন "আর রা'ফ" তথা অদৃশ্যের সংবাদদাতার (হারানো জিনিস কোথায় আছে? ভবিষ্যতে কি হবে? ইত্যাদী বিষয় জানানোর দাবি করে) কাছে গমন করে, এবং (তাকে সত্য মনে করে) তার কাছে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, উক্ত ব্যক্তির ৪০ দিনের নামায কবুল হয়না।

    {মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৫৯৫৭}

    সালাতে এদিক ওদিক তাকানো ●|●

    আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সালাতে এদিক ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ ‘এটা এক ধরনের ছিনতাই, যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার সালাত থেকে অংশ বিশেষ কেড়ে নেয়।” [বুখারী ৭১৫; ইফা]



    আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ।
    ঘর থেকে বের হবার পূর্বে শুধু ২ রাকাত নামাজ পড়ে বের হোন ।
    • এটি চাশতের নামাজ (আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোযোগকারীদের নামাজ)

    • শুধুমাত্র ২ রাকাত নামাজ আদায় করলেই নিম্নোক্ত কাজগুলোর বিকল্প হিসেবে তা যথেষ্ট হয়ে যায় ।

    ... •• রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
    "তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির গ্রন্হির উপর সদকা ওয়াজিব । কাজেই-
    > প্রত্যেকবার 'সুবহানাল্লাহ' বলা সদকা হিসেবে বিবেচিত ।
    > প্রত্যেকবার 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা সদকা হিসেবে বিবেচিত ।
    > প্রত্যেকবার 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলা সদকা হিসেবে বিবেচিত ।
    > প্রত্যেকবার 'আল্লাহু আকবার' বলা সদকা হিসেবে বিবেচিত ।
    > 'সত্‍ কাজের' আদেশ করা সদকা হিসেবে বিবেচিত ।
    > এবং 'অসত্‍ কাজ' থেকে বিরত রাখা সদকা হিসেবে বিবেচিত ।
    • আর কেউ এসবের বিকল্প হিসেবে চাশতের ২ রাকাত নামাজ (আল্লাহর প্রতি পূর্ণ মনোনিবেশকারীদের নামাজ) পড়লে তা যথেষ্ট হবে" [মুসলিম]
    হাদীসটি আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত ।

    * চাশতের নামাজের সময়:
    সূর্য পুরোপুরি উপরে উঠে গিয়ে চারদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সূর্য ঢলে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত এ নামাজ পড়া বৈধ
     
    যে সকল কাজ দ্বারা নামায নষ্ট হয়,
    তাহাকে "মোফছেদাতে নামাজ” বলে।
    ঐরূপ কাজ করিলে নামায পুনরায়
    পড়িতে হয়।

    যেমনঃ-
    ১) নামাযের মধ্যে আজান্তে, ভ্রমে,
    ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কথাবার্তা বলা।
    ২) কাহাকেও ছালাম করা।
    ৩) ছালামের উত্তর দেওয়া।
    ৪) উঃ আঃ শব্দ করা।
    ... ৫) বেদনা অথবা শোকে শব্দ
    করিয়া ক্রন্দন করা।
    ৬) বিনা ওজরে কান্না।
    ৭) নামাযের কোন ফরয ত্যাগ করা।
    ৮) ছতরের একচতুর্থাংশ পর্যন্ত কাপড়
    আলগা হইয়া যাওয়া।
    ৯) কোরান শরীফ খুলিয়া পড়া।
    ১০) নাপাক স্থানে সেজদা করা।
    ১১) হাচির
    উত্তরে "ইয়ারহামুকুমুল্লাহ” বলা।
    ১২) পানাহার করা।
    ১৩) প্রত্যেক
    রোকনে দুইবারে অতিরিক্ত চুলকান।
    ১৪) সুসংবাদে "আলহামদুলি্লল্লাহ”
    এবং দুঃসংবাদে "ইন্নালিল্লা” পড়া।
    ১৫) ইমামের পূর্বে মোক্তাদির কোন
    রোকন আদায় করা।
    ১৬) নামাযের মধ্যে অতিরিক্ত কাজ
    করা।
    প্রশ্ন ঃ বেনামাযীকে ‘কাফের’ বলাতে দোষ আছে কি?
    উত্তর ঃ মহানবী (সাঃ) বলেন, "মানুষ এবং কুফর ও শির্কের মাঝে (অন্তরাল) নামায ত্যাগ।”(মুসলিম ৮২নং)

    তিনি আরো বলেন, "আমাদের মাঝে ও ওদের মাঝে চুক্তিই হল নামায। সুতরাং যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করে, সে কাফের।”(তিরমিযী ২৬২১নং, ইবনে মাজাহ ১০৭৯নং, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)

    ... আমীরুল মু’মিনীন উমার < বলেন, "যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার জন্য ইসলামে কোন অংশ নেই।”(বাইহাক্বী ৬৭৩৪নং, ইবনে আবী শাইবাহ ৩৭০৭৪নং)

    ইবনে মাসঊদ < বলেন, ‘যার নামায নেই, তার দ্বীন নেই।’(সঃ তারগীব ৫৭৪নং)
    আবু দার্দা < বলেন, ‘যার নামায নেই, তার ঈমান নেই।’(ঐ ৫৭৫নং)

    আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব বলেন, ‘নবী (সাঃ)-এর সাহাবাবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরী মনে করতেন না।’(তিরমিযী)

    কিন্তু আপনি তাকে ‘কাফের’ বলবেন না। অথবা সম্বোধনের সময় ‘এ কাফের!’ বলবেন না। যেহেতু যে নামায পড়ে না, সে কাফের। কিন্তু আপনি যে বেনামাযীকে ‘কাফের’ বলছেন, সে প্রকৃতপক্ষে কাফের কি না, তা আপনি জানেন না। কারণ ‘কাফের’ বলার আগে অনেক কিছু দেখবার ও ভাববার আছে। সুতরাং আপনি তাকে সরাসরি ‘তুমি কাফের’ না বলে বলবেন, ‘যে নামায পড়ে না, সে কাফের।’ অতঃপর তাকে নসীহত করবেন। তার সামনে দলীল পেশ করবেন। তার সন্দেহ নিরসন করবেন। আর সে সব না পারলে আপনি ‘কাফের’ বলার কে? (ইবা)
      ===
    আবু মালিক থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃযে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল এবং আল্লাহ্ ব্যতিত অন্য সব উপাসনা প্রত্যাখ্যান করল, সে তার জান ও মালকে নিরাপদ করে নিয়েছে (অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হারাম)। তার চূড়ান্ত হিসাব নিকাশ আল্লাহর ওপর ন্যস্ত। [সহীহ মুসলিম, প্রথম অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ৩৮] আবদুল্লাহ ইবনে দীনার থেকে বর্ণিত। তিনি ইবনে উ'মর (রা) কে বলতে শুনেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন লোক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলে তা তাদের দু'জনের যে কোন একজনের ওপর পতিত হবে। সে যাকে বলেছে যদি সে সত্য সত্যই কাফের হয়ে থাকে, তাহলে তো ঠিকই বলেছে। অন্যথায় কুফরী তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। [সহীহ মুসলিম, প্রথম অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ১২৪] আবু সুফিয়ান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবিরকে (রা) বলতে শুনেছি, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায ছেড়ে দেয়াই হচ্ছে ব্যবধান। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ১৫৪) আবু যুবাইর (রহঃ) জাবির ইবনে আবদুল্লাহকে (রা) বলতে শুনেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায বর্জন করাই হচ্ছে ব্যবধান। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ১৫৫) কিন্তু যারা তওবা করে, নিজেদের অতীত কৃতকর্মের সংশোধন করে ও আল্লাহর কাছে আশ্রয় নেয় এবং আল্লাহর জন্য ধর্মে বিশুদ্ধ হয়, তারা বিশ্বাসীদের সঙ্গে থাকবে। আল্লাহও শিগগিরই মুমিনদের মহাপুরস্কার দেবেন। [আন-নিসাঃ ১৪৬] অবশ্য তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমি বিধানসমূহে জ্ঞানী লোকদের জন্যে সর্বস্তরে র্বণনা করে থাকি। [সূরা আত-তাওবাহঃ ১১] তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন। [আল বাকারাঃ ১১০] নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। [আল বাকারাঃ ২৭৭] যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে তাদের কৃতকর্মের আপ্যায়নস্বরূপ বসবাসের জান্নাত। [আস সেজদাহ্ঃ ১৯] পক্ষান্তরে যারা অবাধ্য হয়, তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। যখনই তারা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তথায় ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের যে আযাবকে মিথ্যা বলতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর। [আস সেজদাহ্ঃ ২০] আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন ও ৫ ওয়াক্ত নামায ঠিক সময়ে আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
    রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় বেশী বেশী পড়তেন , ‘সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফিরলী’
    অর্থাৎ, "হে আল্লাহ্‌! আপনার প্রশংসা সহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।” [বুখারী ৭৮০; ইফা
    ]
    আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ "বলতো যদি তোমাদের বাড়ির সামনে একটি নদী থাকে, আর কেউ তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে?” সাহাবীরা উত্তর দিলেন, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।
    আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন, "এ হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ। দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সময়মত পড়লে এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ সমুহ মিটিয়ে দেন।”
    [বুখারিঃ ৫২৮]
    আসসালামু আলাইকুম ++
    নবী (সা) মসজিদে কাতারগুলি এমনভাবে সোজা করতেন যেন মনে হতো তিনি তীর সোজা করছেন। একদিন মুআজ্জিন নামাযের তাকবীর দিতে উদ্যত হচ্ছিল, এমন সময়ে এক ব্যক্তির উপর তার দৃষ্টি পড়ল যার বুক কাতার থেকে আগে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর বান্দাগণ, কাতার সোজা করে নাও, নচেৎ আল্লাহ তোমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন।
    [বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা লিহীন, ৮/১০৯৬]
    আর আমার মসজিদের ইমাম সাহেব কোনদিন পিছন ফিরে দেখেনই না কাতারের কি অবস্থা। মুক্তাদিদের উপদেশ দেয়া তো দূরের কথা, সোজা হোক আর অপুর্ন থাকুক তাতে উনার কিছু আসে যায় না।
    সবচেয়ে বড় চুরি হলো নামাজে চুরি করা।
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ,"সবচেয়ে জঘন্য চোর হল যে তার সালাতে চুরি করে। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে সালাতে চুরি করে? তিনি বললেন, রুকু ও সিজদা পূরা করে না ।”
    (আহমাদ ৫/৩১০; সহীহ আল-জামে ৯৯৭)
    **প্রথম কাতারে সালাত আদায় করার ফযীলতঃ
    আমরা অনেক সময় মসজিদে কিছু মুসল্লি না জানা থাকার কারণে সামনের কাতারে জায়গা ফাঁকা রেখে পেছনের কাতারে সালাত আদায় করি| সামনের বা প্রথম কাতারের মর্যাদা বা ফজিলত না জানা থাকার কারণে আমরা কতো বড়ো সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
    প্রথম কাতারে সালাত আদায় করার কয়েকটি ফযীলত বর্ণনা করা হলো:-
    ... প্রথম ফযীলতঃ
    আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যদি মানুষ জানত যে আযানের মধ্যে এবং প্রথম সারিতে কি রয়েছে, অতঃপর উহা লটারী ব্যতীত পাওয়া না যেত, তাহলে অবশ্যই তারা লটারী করত। (বুখারী ও মুসলিম)

    অন্য হাদীসে তিনি (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় প্রথম সারি ফেরেশতাদের সারির অনুরূপ, যদি তোমরা জানতে উহাতে কি রয়েছে তবে অবশ্যই সেদিকে ধাবীত হতে। (সুনানে আবু দাউদ)

    দ্বিতীয় ফযীলত:
    প্রথম সারি সর্বোত্তম সারি| রাসূল (সাঃ) বলেছেন: পুরুষদের উত্তম সারি হল প্রথম সারি এবং তাদের সবচেয়ে মন্দ সারি হচ্ছে সর্বশেষ সারি। আর নারীদের সর্বোৎকৃষ্ট সারি হচ্ছে সর্বশেষ সারি এবং তাদের সবচেয়ে মন্দ সারি হচ্ছে প্রথম সারি। (মুসলিম)|

    তৃতীয় ফযীলত:
    আল্লাহ তা‘আলা এবং ফেরেশ্তাগণ প্রথম কাতার সমূহের জন্য সালাত পড়েন, প্রথম কাতারের বা সারির জন্য সবচেয়ে বেশী সালাত পড়া হয়; কেননা আবু উমামাহ (রা:) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর ফেরেশ্তাগণ প্রথম সারির উপর সালাত পড়েন। সাহাবারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, দ্বিতীয় সারির উপর? তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর ফেরেশ্তাগন প্রথম সারির উপর দরূদ পড়েন। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, দ্বিতীয় সারির উপর? তিনি বলেন, এবং দ্বিতীয় সারির উপরও। (মুসনাদে আহমাদ)|
    (আর আল্লাহ তা‘আলার সালাত হল: ফেরেশ্তাদের নিকট তাদের প্রশংসা করা আর ফেরেশ্তাদের ও নবী (সাঃ) এবং সকল মানুষের সালাত হল: দু‘আ করা ও ক্ষমা চাওয়া)|

    চতুর্থ ফযীলত:
    নবী (সাঃ) প্রথম সারির উপর তিনবার সালাত পাঠ করেছেন এবং দ্বিতীয় সারির উপর একবার সালাত পাঠ করেছেন; কেননা ইরবায বিন ছারিয়াহ (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রথম সারির উপর তিনবার সালাত পাঠ করেছেন এবং দ্বিতীয় সারির উপর একবার সালাত পাঠ করেছেন। ইবনে মাজাহ এর শব্দ হলো, তিনি (সাঃ) প্রথম সারির জন্য তিনবার ইস্তেগফার করতেন এবং দ্বিতীয় সারির জন্য একবার ইস্তেগফার করতেন। [নাসায়ী, ইবনে মাজাহ]|