Tuesday, 2024-04-30, 4:20 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
প্রশ্ন-উঃ ইসলাম১। আকীদা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর বিভাগ
১. প্রাথমিক পর্যায়ের ফরয কাজ ৪টি কী কী ? উত্তর ঃ- জ্ঞান-শিক্ষা করা, আমল করা, প্রচার করা ও এ সবে ধৈর্যধারণ করা। ২. শির্ক কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর ঃ- ৩ প্রকার বড় শির্ক, ছোট শির্ক ও গুপ্ত শির্ক। ... ৩. মুর্তাদ কাকে বলে? উত্তর ঃ- মুর্তাদ (ধর্মত্যাগী) সেই, যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে বিধর্মী বা ধর্মহীন হয়ে যায়। ৪. মুনাফিকী কয় প্রকার? উত্তর ঃ- ২ প্রকার ঃ বিশ¡াসগত (বড়) মুনাফিকী ও কর্মগত (ছোট) মুনাফিকী। ৫. কর্মগত (ছোট) মুনাফিকীর নিদর্শন কয়টি? উত্তর ঃ- ৫টি ঃ মিথ্যা বলা, প্রতিশ্র"তি ভঙ্গ করা, চুক্তি ভঙ্গ করা, আমানতে খিয়ানত (বিনষ্ট) করা এবং বাদানুবাদ কালে অশ্লীল বলা। ৬. পাপ কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর ঃ- পাপ সাধারণতঃ তিন প্রকার ঃ অতি মহাপাপ, মহাপাপ ও লঘু বা উপপাপ। ৭. আল্লাহর আকার আছে তার প্রমাণ কী? উত্তর ঃ- তাঁর চেহারা দেখা যাবে বেহেশ্তে। তাঁর কোন দৃষ্টান্ত ও উদাহরণ নেই। ৮. ঈমান তিনটি বিষয়ের সমষ্টির নাম। তা কী কী? উত্তর ঃ- অন্তরে বিশ¡াস করা, মুখে ¯¦ীকার করা এবং কাজে পরিণত করা। ৯. বিপদে গায়রুল্লাহকে কখন ডাকা যাবে? উত্তর ঃ- গায়রুল্লাহকে বিপদে সাহায্যের আশায় ৩টি শর্তে ডাকা যাবে ঃ- (ক) যাকে আহবান করা হয়, তাকে জীবিত হতে হবে। (খ) তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। (গ) তার সাহায্য করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। ১০. কিয়ামতে শাফাআত বা সুপারিশের শর্তাবলী কী কী? উত্তর ঃ- (ক) সুপারিশকারীর সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। (খ) যার জন্য সুপারিশ করা হবে তাকে তৌহীদবাদী (শির্কহীন) মুসলিম হতে হবে। (গ) যার জন্য সুপারিশ করা হবে তার উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকতে হবে। (ঘ) সুপারিশকারীর জন্য আল্লাহর অনুমতি হতে হবে। ১১. তাগূত কাকে বলে? উত্তর ঃ- প্রত্যেক সেই পূজ্যমান উপাস্য যে আল্লাহর পরিবর্তে পূজিত হয় এবং সে তার এই পূজায় স¤মত থাকে অথবা আল্লাহ ও তদীয় রসূলের অবাধ্যতায় প্রত্যেক অনুসৃত বা মানিত ব্যক্তিকেই তাগূত বলা হয়। ১২. প্রধান তাগূত পাঁচটি। তা কী কী? উত্তর ঃ- (ক) শয়তান। (খ) আল্লাহর বিধান বিকৃতকারী অত্যাচারী শাসক। (গ) আল্লাহর অবতীর্ণকৃত বিধান ছেড়ে অন্য বিধানানুসারে বিচারকর্তা শাসক। (ঘ) আল্লাহ ব্যতীত ইলমে গায়েবের দাবীদার। (ঙ) আল্লাহর পরিবর্তে যার পূজা করা ও যাকে (বিপদে) আহবান করা হয় এবং সে এতে স¤মত থাকে। ১৩. দ্বীন এসেছে মানুষের পাঁচটি প্রয়োজনীয় জিনিস রক্ষা করতে। তা কী কী? উত্তর ঃ- জান, ঈমান, জ্ঞান, মান ও ধন। ১৪. দ্বীনের পর্যায় কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ- ৩টি ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান। ১৫. ইসলাম মানে কী? উত্তর ঃ- আত্মসমর্পণ। ১৬. ঈমানের রুক্ন (খুঁটি) কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ- ছয়টি ঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান, তাঁর ফিরিশ্তার প্রতি ঈমান, তাঁর অবতীর্ণ কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, তাঁর প্রেরিত নবী ও রসূলগণের প্রতি ঈমান, (মৃত্যুর পর আর এক জীবন) পরকালের প্রতি ঈমান এবং আল্লাহর লিখিত তকদীর ও ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান। ১৭. প্রধান প্রধান নবী-রসূল ৫ জন, তাঁরা কে কে? উত্তর ঃ- নূহ, ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা ও মুহা¤মাদ। (আলাইহিমুস স¡ালাতু অস্সালাম) ১৮. ইসলামের পর্যায়ক্রমিক রুক্ন (খুঁটি) পাঁচটি কী কী? উত্তর ঃ- কালেমা, নামায, যাকাত, রোযা ও হজ্জ। ১৯. শরীয়তের বিধানসমূহের মান কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ- শরীয়তের বিধানের পাঁচটি মান ঃ- (ক) ফরয বা ওয়াজেব ঃ যা পালন না করলে মহাপাপ হয়। (খ) সুন্নত বা মুস্তাহাব ঃ যা পালন করলে সওয়াব হয় এবং না করলে গোনাহ হয় না। (গ) মুবাহ, জায়েয বা বৈধ ঃ যা করা না করায় কোন পাপ-পুণ্য নেই। (ঘ) মকরূহ বা অপছন্দনীয় ঃ যা না করলে সওয়াব হয় এবং করলে গোনাহ হয় না। (ঙ) হারাম, নাজায়েয বা অবৈধ ঃ যা করলে মহাপাপ হয়। ২০. বিদআত কাকে বলে? উত্তর ঃ- শরীয়ত মনে করে অথবা করতে হয় মনে করে করা অথবা করতে নেই মনে করে না করা প্রত্যেক সেই কাজ যা করা বা না করার উপর কোন দলীল নেই। ২১. কোন কাজ বিদআত হওয়ার দলীল কী? উত্তর ঃ- তার কোন দলীল নেই। ২২. শরীয়তের দলীল কয়টি ও কী কী? উত্তর ঃ- পাঁচটি ঃ কুরআন (কিতাব), হাদীস (সুন্নাহ), ইজমা’ (সর্ববাদিস¤মতি), কিয়াস (অনুমিতি) ও আষার (সাহাবীর উক্তি)। ২৩. মানুষের নাফ্স (আত্মা) কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর ঃ-তিন প্রকার; নাফ্সে মুত্বমাইন্নাহ, নাফ্সে আ¤মারাহ ও নাফ্সে লাউওয়ামাহ। ২৪. ‘ইসলাম সকল মানুষকে সমান অধিকার দিয়েছে’ কথাটি কি ঠিক? উত্তর ঃ- কথাটি ভুল। ঠিক কথা হল, ইসলাম প্রত্যেককে তার প্রাপ্য ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রদান করেছে। ২৫. অসীলা ধরা শির্ক বা বিদআত। কোন্ অসীলা বৈধ? উত্তর ঃ- (ক) আল্লাহর গুণাবলীর অসীলা। (খ) ¯¦কৃত নেক আমলের অসীলা। (গ) জীবিত কোন নেক লোকের দুআর অসীলা। ২৬. চারটি কাজ করলে ঈমানের মিষ্টতা পাওয়া যায়। তা কী কী? উত্তর ঃ- (ক) আল্লাহর ওয়াস্তে ভালোবাসা, (খ) আল্লাহর ওয়াস্তে ঘৃণা করা, (গ) আল্লাহর ওয়াস্তে দান করা এবং (ঘ) আল্লাহর ওয়াস্তে দান না করা। ২৭. তওবার শর্তাবলী কী কী? উত্তর ঃ- (ক) তওবা হবে আন্তরিকভাবে একমাত্র আল্লাহর জন্য বিশুদ্ধ। (খ) সাথে সাথে পাপ বর্জন করতে হবে। (গ) বিগত (পাপের) উপর লাঞ্ছনা ও অনুশোচনা প্রকাশ করতে হবে। (ঘ) পুনরায় মরণ পর্যন্ত তার প্রতি না ফেরার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে। (ঙ) কোন মানুষের অধিকার হরণ করে পাপ করলে সে অধিকার আদায় করে তবে তওবা করতে হবে। (চ) তওবা কবুল হওয়ার নির্ধারিত সময়ে (মরণ নিকটবর্তী হওয়ার আগে এবং পশ্চিমাকাশে সূর্য উদয় হওয়ার পূর্বে) তওবা করতে হবে। ২৮. তওহীদ কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর ঃ- তিন প্রকার ঃ রবূবিয়্যাহ, উলূহিয়্যাহ ও আসমা অসিফাত। ২৯. মক্কার কাফেররা কোন্ তাওহীদ মানত? উত্তর ঃ- তাওহীদুর রবূবিয়্যাহ। ৩০. কোন্ তাওহীদের প্রতি সকল রসূল আহবান করেছেন এবং মুশরিকরা তা মেনে নিতে অ¯¦ীকার করেছে? উত্তর ঃ- তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ। ৩১. কোন্ তাওহীদের জন্য আল্লাহর নবী (সাঃ)-কে যুদ্ধে নামতে হয়েছিল? উত্তর ঃ- তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ। ৩২. বিপদের সময় মুশরিকরা কাকে আহবান করত? উত্তর ঃ- আল্লাহকেই আহবান করত। ৩৩. আল্লাহ কোথায় আছেন? উত্তর ঃ- সাত আসমানের উপর আরশে। ৩৪. মহান আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি কী? উত্তর ঃ- আল্লাহর আরশ। ৩৫. কুরসী কী? উত্তর ঃ- আল্লাহর পা রাখার জায়গা। ৩৬. মরণের পর ভালো লোকদের রূহ যে জায়গায় থাকে তার নাম কী? উত্তর ঃ- ইল্লিয়্যীন। ৩৭. মরণের পর পাপীদের রূহ যেখানে থাকে তার নাম কী? উত্তর ঃ- সিজ্জীন। ৩৮. কবরে এক ব্যক্তিকে মাথায় পাথর মেরে আযাব দেওয়া হচ্ছে। তার পাপ কী? উত্তর ঃ- কুরআনী ইল্ম থাকা সত্ত্বেও অবহেলা করে রাত্রে নিদ্রায় বিভোর থাকা এবং দিনে তার উপর আমল না করা অথবা ফরয নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকা। ৩৯. কেউ আত্মহত্যা করে মারা গেলে জাহান্নামে তার শাস্তি কী? উত্তর ঃ- যে জিনিস দিয়ে আত্মহত্যা করবে, সেই জিনিস দিয়ে আযাব ভোগ করবে। ৪০. কিয়ামতের দিন হওয-কওসরের পানি কাদেরকে পান করতে দেওয়া হবে না? উত্তর ঃ- বিদআতীদেরকে। ৪১. কিয়ামতের দিন মীযানে কী কী ওজন করা হবে? উত্তর ঃ- আমল, আমলনামা ও আমলকারী। ৪২. অহংকারীদেরকে কীসের আকারে হাশর করা হবে? উত্তর ঃ- পিঁপড়ের আকারে। ৪৩. কিয়ামতে কাদের গর্দান সবচেয়ে বেশি উঁচু হবে? উত্তর ঃ- মুআয্যিনদের। ৪৪. কিয়ামতে নূরের মিম্বরে কারা উপবেশন করবে? উত্তর ঃ- ন্যায় বিচারকগণ। ৪৫. কিয়ামতের দিন ৫০ হাজার বছরের সমান। মুমিনদের জন্য এ দিন কতদিনকার সমান হবে? উত্তর ঃ- যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়কাল সমান। ৪৬. কিয়ামতে এক ব্যক্তির জন্য নবী (সাঃ)-এর সুপারিশ অনিবার্য হবে কার জন্য? উত্তর ঃ- যে আযানের পর দরূদ পড়ে নির্দিষ্ট দুআ পড়ে। ৪৭. কিয়ামতে আল্লাহর কী দেখে মুমিনগণ তাঁকে চিনতে পেরে সিজদা করবে এবং মুনাফেক বেনামাযীরা সিজদা করতে সক্ষম হবে না? উত্তর ঃ- পায়ের রলা দেখে। ৪৮. গরীবরা ধনীদের কত বছর পূর্বে বেহেশ্ত প্রবেশ করবে? উত্তর }- ৫০০ বছর পূর্বে। ৪৯. জান্নাতের কক্ষ-অট্টালিকা সোনার। জান্নাতের পায়খানার প্যানও কি সোনার? উত্তর ঃ- জান্নাতে পায়খানা নেই। ৫০. আল্লাহর আরশের নিচে কোন জান্নাত অবস্থিত? উত্তর ঃ- জান্নাতুল ফিরদাউস। ৫১. আটটি জান্নাতের নাম বলুন। উত্তর ঃ- ফিরদাউস, আদ্ন, খুলদ, নায়ীম, মা’ওয়া, দারুস সালাম, দারুল মুকামা এবং রাইয়ান। ৫২. জান্নাতের সবচেয়ে বেশি তৃপ্তিকর সুখ কী? উত্তর ঃ- আল্লাহর দীদার। ৫৩. বেহেশ্তে দুটি পানির ঝর্না আছে, সে দুটির নাম কী? উত্তর ঃ- সালসাবীল ও তাসনীম। ৫৪. একটি মহিলার একাধিক বিবাহ হয়ে থাকলে এবং সবাই বেহেশ্তে গেলে, সে কার স্ত্রী হবে? উত্তর ঃ- শেষ ¯¦ামীর। যার বিবাহ-বন্ধনে থেকে মারা যাবে। ৫৫. জান্নাতীদের দৈর্ঘ্য কত হবে, বয়স কত হবে? উত্তর ঃ- দৈর্ঘ্য ৬০ হাত, বয়স ৩০ বছর। ৫৬. জাহান্নামের ৭টি বিভাগের নাম বলুন। উত্তর ঃ- জাহান্নাম, জাহীম, সায়ীর, সাকার, হুত্বামাহ, হাবিয়াহ ও লাযা। ৫৭. জাহান্নামের সবচেয়ে হাল্কা আযাব কী? উত্তর ঃ- আগুনের এক জোড়া জুতা। ৫৮. জাহান্নামের দারোগার নাম কী? উত্তর ঃ- মালেক। ৫৯. জাহান্নামের সবচেয়ে হাল্কা আযাব কার হবে? উত্তর ঃ- নবী (সাঃ)-এর চাচা আবূ তালেবের। ৬০. জাহান্নামে কাফেরের অবস্থান ক্ষেত্র কত বড় হবে? উত্তর ঃ- মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থান বরাবর। (অর্থাৎ ৪২৫ কিমিঃ।) ৬১. জান্নাত ও জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী কারা? উত্তর ঃ- জান্নাতের অধিকাংশ অধিবাসী গরীব ও দুর্বল শ্রেণীর মানুষ এবং জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী নারী। ৬২. জাহান্নামের তলদেশ থেকে উদ্গত একটি গাছ জাহান্নামীদের খাদ্য হবে। গাছটির নাম কী? উত্তর ঃ- যাক্কুম। ৬৩. জাহান্নামে কিছু লোক নিজের নাড়ীভুঁড়ি বের করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকবে। তারা কারা? উত্তর ঃ- বেআমল আলেমরা। ৬৪. জাহান্নামের খালি জায়গা পূর্ণ হবে কী দিয়ে? উত্তর ঃ- আল্লাহর পা দিয়ে। ৬৫. মৃত্যুকে যবেহ করা হবে, কোন্ সময়, কীসের আকারে? উত্তর ঃ- জান্নাতীরা জান্নাতে ও জাহান্নামীরা জাহান্নামে স্থায়ী হওয়ার পর ভেড়ার আকারে মৃত্যুকে যবেহ করা হবে। ৬৬. এক নবী এক ফিরিশ্তাকে থাপ্পড় মেরে চোখ বের করে দিয়েছিলেন। সেই নবীর নাম ও সেই ফিরিশ্তার নাম কী? উত্তর ঃ- মূসা নবী, মালাকুল মাওত ফিরিশ্তা। ৬৭. ঈমানের সবচেয়ে ছোট শাখাটি কী? উত্তর ঃ- রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করা। ৬৮. আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, রুযী দেন, আমাদের রোগ ভালো করেন। এ বিশ¡াস কোন্ তাওহীদের পর্যায়ভুক্ত? উত্তর ঃ- তাওহীদুর রবূবিয়্যাহ। ৬৯. এ পৃথিবীতে শির্ক সংঘটিত হওয়ার প্রধান কারণ কী? উত্তর ঃ- নেক লোকদের ব্যাপারে অতিরঞ্জন। ৭০. মাযার পূজা কোন্ তাওহীদ বিরোধী? উত্তর ঃ- তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ। ৭১. আল্লাহর যে সিফাত সম্বন্ধে কুরআন-হাদীসে বর্ণনা আসেনি, তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলে কী বলতে হয়? উত্তর ঃ- জানি না। আল্লাহই জানেন। ৭২. আপনার তকদীর কখন কখন লেখা হয়েছে? উত্তর ঃ- বিশ¡ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে, তারপর মায়ের পেটে এবং প্রত্যেক বছর শবেকদরে। ৭৩. কোন্ শ্রেণীর তাবীয ব্যবহার করা শির্ক নয়, তবে তা অবৈধ? উত্তর ঃ- কুরআনের আয়াত দ্বারা লিখিত তাবীয। ৭৪. কোন্ কোন্ শহরে মারা গেলে কবরের আযাব মাফ? উত্তর ঃ- কোন শহরে না। ৭৫. সাহাবীর সংজ্ঞা কী? উত্তর ঃ- যিনি ঈমানের অবস্থায় নবী (সাঃ)-এর সাহচর্য পেয়েছেন এবং ঈমানের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি সাহাবী। ৭৬. ইয়াহুদীদের ধ¡ংসের আগে তাদের সর্বশেষ এবং সর্বমহান নেতার নাম কী? উত্তর ঃ- দাজ্জাল। ৭৭. সব গাছ ইয়াহুদীকে হত্যা করতে বলবে একটি গাছ বলবে না, সে গাছের নাম কী? উত্তর ঃ- গারক্বাদ। ৭৮. বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার কী? উত্তর ঃ- বান্দা শির্ক করবে না। ৭৯. আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার কী? উত্তর ঃ- শির্ক না করলে আল্লাহ বান্দাকে বেহেশ্ত দান করবেন। ৮০. আরবের লোকেরা ইব্রাহীম (আঃ)-এর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। অতঃপর এক ব্যক্তি এসে তাদের সত্য দ্বীনের পরিবর্তন ঘটালো। সেই লোকটির নাম কী? উত্তর ঃ- আম্র বিন লুহাই। ৮১. মক্কার মুশরিকরা কোন অজুহাতে গায়রুল্লাহর ইবাদত করত? উত্তর ঃ- পূজনীয় তাদের মাধ্যম ও সুপারিশকারী হবে। ৮২. পাপী মানুষ পাপের ফল¯¦রূপ দুঃখ ভোগ করে, কিন্তু দ্বীনদার মানুষ দুঃখ পায় কেন? উত্তর ঃ- আল্লাহ ভালোবাসেন বলে, পাপ মাফ করাবার জন্য, মর্যাদা বাড়ানোর জন্য। ৮৩. আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসকেই প্রথমে ছোট আকারে সৃষ্টি করেন, অতঃপর তা ধীরে ধীরে বড় হয়। কিন্তু কোন্ জিনিস তিনি এরূপ সৃষ্টি করেছেন যে, প্রথমে তা বড় থাকে, তারপর তা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যায়? উত্তর }- মুসীবত। ৮৪. ধৈর্য কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর ঃ- তিন প্রকার ঃ তকদীরের বালা-মসীবতে ধৈর্য, আল্লাহর আদেশ পালনে ধৈর্য ও তাঁর নিষেধ পালনে ধৈর্য। ৮৫. আল্লাহর নবী গায়েব জানতেন না। তার একটি দলীল উল্লেখ করুন। উত্তর ঃ- তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে কলঙ্ক দেওয়া হলে তাঁর মন খারাপ হয়েছিল। ৮৬. আপনি মদীনায় যাবেন কী উদ্দেশ্যে? উত্তর ঃ- মসজিদে নববীর যিয়ারত উদ্দেশ্যে। (নবী (সাঃ)-এর কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে নয়।) ৮৭. কিয়ামতের দিন সূর্য মানুষের কতটা নিকটবর্তী হবে? উত্তর ঃ- এক মাইল বরাবর। ৮৮. কিয়ামতের দিন রোদের তাপে মানুষের এত ঘাম হবে যে কারো নাক বরাবর, কারো হাঁটু বরাবর আবার কারো কোমর বরাবর হবে। কিন্তু মাটির নিচে কতদূর পৌঁছবে? উত্তর ঃ- সত্তর হাত। ৮৯. মানুষের কোন্ অংশ নিয়ে আল্লাহ তাকে আবার জীবিত করবেন? উত্তর ঃ- মেরুদণ্ডের সর্বনিম্নের একটি ছোট্ট হাড় নিয়ে। ৯০. আল্লাহর রসূলের যামানায় ঘড়ি ছিল না। তবুও ঘড়ি পরা বিদআত নয় কেন? উত্তর ঃ- যেহেতু তা শরীয়তের বিষয় নয়। ৯১. চারটি আসমানী কিতাবের নাম কী? উত্তর ঃ- কুরআন, যবূর, তাওরাত ও ইঞ্জীল। ৯২. কিয়ামত কোন্ দিনে সংঘটিত হবে? উত্তর ঃ- শুক্রবারে। ৯৩. কিয়ামতের বড় বড় ৩টি নিদর্শন বলুন। উত্তর ঃ- দাজ্জালের আগমন, ঈসা নবীর আগমন, পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয়। ৯৪. কোন্ মযহাবের লোক আবূ বাক্র, উমার ও উষমান -কে কাফের বলে? উত্তর ঃ- শিয়া। ৯৫. নবী ও রসূলের মধ্যে পার্থক্য কী? উত্তর ঃ- রসূলের কাছে নতুন শরীয়ত এসেছে, নবীর কাছে নয়। ৯৬. মু’জিযা বা কারামত ও যাদুর মাঝে পার্থক্য কী? উত্তর ঃ- মু’জিযা বা কারামত ইচ্ছামত দেখানো যায় না, তা আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে। কিন্তু যাদু ইচ্ছা করলেই যাদুকর দেখাতে পারে। তাছাড়া প্রথমটি রহমানী ও দ্বিতীয়টি শয়তানী কারসাজি। ৯৭. কুরআনের শপথ নেওয়া যায় কেন? উত্তর ঃ- যেহেতু কুরআন কোন সৃষ্টি নয়; কুরআন আল্লাহর বাণী। ৯৮. সবশেষে ঈসা নবী আসবেন, তাহলে মুহা¤মাদ (সাঃ)-কে সর্বশেষ নবী বলা হল কেন? উত্তর ঃ- যেহেতু ঈসা (আঃ) শেষনবীর উ¤মত হয়ে আসবেন; নবী হয়ে নয়। ৯৯. আযানের দুআয় আমরা মহানবী (সাঃ)-এর জন্য ‘অসীলাহ’ চাই? তার অর্থ কী? উত্তর ঃ- জান্নাতের এক সুউচ্চ স্থান। ১০০. মহানবী (সাঃ) আমাদের মত মানুষ। কিন্তু তাঁর অতিমানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য বলুন। উত্তর ঃ- তিনি নামাযে সামনে যেমন দেখতেন, পিছনেও তেমনি দেখতেন। তাঁর দেহের ঘাম আতর ছিল। তাঁর অন্তর সদাজাগ্রত থাকত। তিনি একাদিক্রমে ইফতার না করে রোযা রাখতে পারতেন। তাঁর কাছে অহী করা হত। শয়তান তাঁর আকৃতি ধারণ করতে পারে না। তাঁর ব্যবহƒত সকল জিনিস ছিল বর্কতময়। ১০১. কুরআনে আছে, মায়ের পেটে কী বাচ্চা আছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। বর্তমানে যন্ত্র দ্বারা তা দেখা যায়, তাহলে? উত্তর ঃ- কুরআনের কথা সত্য। গায়বী খবর; যা বিনা কোন মাধ্যমে জানা বা বলা হয়, যন্ত্রের মাধ্যম নিয়ে বলা গায়েব বলা নয়। ১০২. বায়তুল মা’মূর কী? উত্তর ঃ- সপ্তম আসমানে ফিরিশ্তাগণের উপাসনালয়। ১০৩. মি’রাজ মহানবী (সাঃ)-এর সশরীরে হয়েছিল তার বড় প্রমাণ কী? উত্তর ঃ- কাফেরদের অ¯¦ীকার। ১০৪. কোন্ শির্ক নেককার পরেহেযগার বা সৎলোকদের দ্বারা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী? উত্তর ঃ- ছোট শির্ক রিয়া। ১০৫. আল্লাহ ছাড়া আর কারো জন্য সিজদা বৈধ নয়। বৈধ হলে কে কার সিজদা পাওয়ার যোগ্য ছিল? উত্তর ঃ- ¯¦ামী যোগ্য ছিল স্ত্রীর সিজদা পাওয়ার। ১০৬. কোন্ ব্যক্তির মরণ মুনাফেকীর উপর হয়? উত্তর ঃ- যে ব্যক্তি জিহাদের নিয়ত না রেখে মারা যায়। //প্রশ্ন ঃ যে ব্যক্তি ‘ইল্মে গায়েব দাবী করবে, তার বিধান কি?
উত্তর ঃ যে ব্যক্তি ‘ইল্মে গায়েব দাবী করবে সে কাফির। কেননা সে আল্লাহ তা‘আলাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ অর্থ ঃ হে নবী! আপনি বলে দিন, আকাশ এবং যমীনে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ গায়েবের সংবাদ জানে না এবং তারা জানে না যে, কখন পুনরুথিত হবে। (সূরা নামল ঃ ৬৫) যেহেতু আল্লাহ তাঁর নবীকে এই মর্মে ঘোষণা করার আদেশ দিয়েছেন আকাশ-যমীনে আল্লাহ ছাড়া গায়েবের খবর আর কেউ জানে না, এরপরও যে ব্যক্তি গায়েবের খবর জানার দাবী করবে, সে আল্লাহকে এ ব্যাপারে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করল। যারা ‘ইল্মে গায়েবের দাবী করে তাদেরকে আমরা বলব, তোমরা কিভাবে এটা দাবী কর অথচ রাসূল (সাঃ) তা জানতেন না। তোমরা বেশী মর্যাদাবান না রাসূল (সাঃ)? যদি তারা বলে, আমরা রাসূল (সাঃ) হতে বেশী মর্যাদাবান তাহলে তারা এ কথার কারণে কাফির হয়ে যাবে। আর যদি বলে রাসূল (সাঃ) বেশী মর্যাদাবান, তাহলে আমরা বলব কেন তিনি গায়েবের সংবাদ জানেন না? অথচ তোমরা তা জান বলে দাবী করছ? আল্লাহ তা‘আলা বলেন, عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا إِلَّا مَنْ ارْتَضَى مِنْ رَسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا অর্থ ঃ তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন। (সূরা জিন ঃ ২৬-২৭) ‘ইল্মে গায়েবের দাবীদারদের কাফির হওয়ার এটি দ্বিতীয় দলীল। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে মানুষের জন্য ঘোষণা করতে বলেন যে, قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ অর্থ ঃ আপনি বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভাণ্ডার আছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য জগতের বিষয় অবগতও নই। আমি এমনও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, আমার নিকট প্রেরণ করা হয়। (সূরা আন‘আম ঃ ৫০) ::::শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ্ আল ঊসাইমীন >> Islamic Education & Research Foundation (IERF) shared Ahsanul Karim's status update.
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |