Tuesday, 2024-04-30, 7:43 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ইমাম মাহদিইমাম মাহদি সম্পরকে বিস্তারিত জানতে চাই ? কবে আসবে?ইমাম মাহদীর আবির্ভাব: শেষ জামানায় ফেতনার আধিক্য ঘটবে, অন্যায়-অত্যাচার মানুষের স্বভাবে পরিণত হবে, দুর্বল সব...লকে গ্রাস করে নেবে, সমাজে অনিষ্ট বেক্তিদের কর্তৃত্ব থাকবে। এতদসত্তেও মুমিনগণ প্রভাতের নতুন রবির আশায় বুক বেঁধে থাকবেন, যা জুলুম-অত্যাচারের সকল আঁধারকে ভেদ করে প্রতিটি মুসলিমের ঘরে গিয়ে পৌছবে। মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ (ইমাম মাহদী) এর মাধ্যমে আল্লাহ্ পাক মুসলমানদের একতাকে পুনরায় ফিরিয়ে দেবেন। আবারো মুসলমান এক কালেমার পতাকা তলে জড়ো হয়ে বিশ্বশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হবে। বিশ্বজুড়ে ইসলামের জয়গান বেজে উঠবে। নাম ও পরিচিতি: মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল-হাসানী। বংশ পরম্পরায় হাসান বিন আলী (রা:) পর্যন্ত পৌছবে। ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা:) বলেন: পৃথিবী জীবন সায়াহ্নে যদি একটি মাত্র দিন অবশিষ্ট থাকে, তবে সেই দিনটিকে আল্লাহ্ দীর্ঘ করে আমার পরিবারস্থ একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করে ছাড়বেন, তাঁর নাম আমার নাম এবং তাঁর পিতার নাম আমার পিতার নাম সদৃশ হবে...[তিরমিযী, আবু দাউদ] প্রকাশের নেপথ্য: শেষ জামানায় সংঘাত যখন ব্যাপক আকার ধারণ করবে, অবিচার যখন স্বভাবে রূপান্তরিত হবে, ন্যায় নিষ্ঠা সোনার হরিণে পরিণত হবে, মুসলিম সমাজে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, ভ্যবিচার ও পাপাচার ছেয়ে যাবে, ঠিক তখনই আল্লাহ্ পাক একজন সৎ নিষ্ঠাবান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটাবেন। তাঁর হাতে আল্লাহ্ উম্মতে মুহাম্মদীকে পুনর্সংশোধন করবেন। আহলে সুন্নাত মুসলমানদের কাছে তিনি ইমাম মাহদী নামে পরিচিত হবেন। ইসলামের জন্য আত্মোৎসর্গকারী একদল নিষ্ঠাবান মর্দে-মুজাহিদ তাঁর সহযোগী হবেন। শত্রুদের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে তিনি মুমিন মুজাহিদীনের নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্ব মুসলিমের একক সেনাপতি রূপে তিনি প্রসিদ্ধ হবেন। বিশিষ্ট্য: আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা:) বলেন: মাহদী আমার বংশধর। উজ্জ্বল ললাট ও নত নাসিকা বিশিষ্ট। ন্যায় নিষ্ঠায় পৃথিবী ভরে দেবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অত্যাচার-অবিচার ভরে গিয়েছিল। সাত বৎসর রাজত্ব করবে...[আবু দাউদ] উজ্জ্বল ললাট- অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগ চুল-শূন্য ও সুপরিসর। নত নাসিকা- অর্থাৎ দীর্ঘ নাক। অগ্রভাগ কিছুটা সরু এবং মধ্যভাগ কিছুটা স্ফীত, একেবারে চ্যাপটে নয়। পূর্ণ নাম- মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল হাসানী। ঠিক নবীজীর নামের মত। হাসান বংশীয় হওয়ার রহস্য: পিতা আলী (রা:) এর শাহাদাতের পর হাসান (রা:) যখন খলীফা হন, তখন মুসলিম বিশ্বে খলীফা দুজন হয়ে গিয়েছিল। ১. হেজায এবং ইরাকে হাসান (রা:)। ২. শাম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে মুয়াবিয়া আবি সুফিয়ান (রা:)। ছয় মাস শাসনকার্য পরিচালনার পর পার্থিব কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই হাসান (রা:) সম্পূর্ণ খিলাফত মুয়াবিয়া (রা:)-কে দিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে এক শাসকের অধীনে মুসলমান একতাবদ্ধ হয়ে যায়। মুমিনদের পারস্পরিক রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। হাদিসে আছে- "আল্লাহ্র জন্য যে ব্যক্তি কোন কিছু ত্যাগ করল, আল্লাহ্ তাকে এবং তাঁর বংশধরকে এর চেয়েও উত্তম বস্তু দান করবেন” রাজত্বকাল: সাত বৎসর তিনি মুসলমানদের নেতৃত্ব দেবেন। ন্যায় নিষ্ঠায় পৃথিবী ভরে দেবেন, ঠিক যেমন পূর্বে অন্যায়-অবিচারে ভরে গিয়েছিল। তাঁর রাজত্বকালে মুসলিম বিশ্ব সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে পূর্ণ হয়ে উঠবে। ভূ-পৃষ্ঠ সকল গচ্ছিত খনিজ সম্পদ প্রকাশ করে দেবে। আকাশ ফসলভরা বৃষ্টি বর্ষণ করবে। বে-হিসাব মানুষের মাঝে তিনি ধন সম্পদ বণ্টন করবেন। প্রকাশ-স্থল: প্রাচ্য থেকে আত্মপ্রকাশ করবেন। একা নয়; প্রাচ্যের একদল নিষ্ঠাবান মুজাহিদও তাঁর সাথে থাকবেন। দ্বীনের ঝাণ্ডা বুকে নিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে। প্রকাশকাল: মুসলিম বিশ্বে অধিক সংঘাত-কালে তিনজন খলীফা-সন্তান কাবা ঘরের কর্তৃত্ব নিয়ে যুদ্ধে লেগে যাবে। কেউই সফল হবে না। তখনই মক্কায় ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে। দ্রুত মানুষের মাঝে সংবাদ ছড়িয়ে পড়বে। সকলেই কাবা ঘরের সামনে তাঁর হাতে বায়াআত গ্রহণ করবে। ছাওবান (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা:) বলেন: তোমাদের রত্ন-ভাণ্ডারের কাছে তিনজন খলীফা-সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কেউই দখলে সফল হবে না। প্রাচ্য থেকে তখন একদল কালো ঝাণ্ডা-বাহী লোকের আবির্ভাব হবে। তারা এসে তোমাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করবে। ছাওবান বলেন-অতঃপর নবীজী কি যেন বললেন, আমার ঠিক স্মরণ নেই। এরপর নবীজী বললেন-যখন তোমরা তা দেখতে পাবে, অখন তাঁর কাছে এসে বায়াআত হয়ে যেয়ো! যদিও তা করতে তোমাদের হামাগুড়ি দিয়ে বরফের পাহাড় পাড়ি দিতে হয়...!! [ইবনে মাজা] খলীফা-সন্তান: অর্থাৎ তিনজন সেনাপতি। সবাই বাদশার সন্তান হবে। পিতার রাজত্বের দোহাই দিয়ে সবাই ক্ষমতা দাবী করবে। রত্ন-ভাণ্ডার: কাবা ঘরের নিচে প্রোথিত রত্নও উদ্দেশ্য হতে পারে। নিছক রাজত্বও উদ্দেশ্য হতে পারে। কারো কারো মতে রত্ন বলতে এখানে ফুরাত নদীর উন্মোচিত স্বর্ণ-পর্বত উদ্দেশ্য। প্রশ্ন: মাহদীর মক্কায় আত্মপ্রকাশের এবং প্রাচ্য (খোরাছান) থেকে কালো ঝাণ্ডা-বাহী মুজাহিদীনের আগমন কি করে সম্ভব...? আর ঝাণ্ডা কালো হওয়ার মধ্যেই বা কি রহস্য...? উত্তর: ইবনে কাছীর (রহ:) বলেন: মাহদীকে প্রাচ্যের নিষ্ঠাবান একটি দলের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হবে। তারা মাহদীকে সহায়তা করবে এবং মাহদীর রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। তাদের পতাকাও কালো বর্ণের হবে। এটা গাম্ভীর্যের প্রতীক। কারন, নবী করীম (সা:) এর পতাকাও কালো ছিল। নাম ছিল উকাব। আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা:) বলেন-আমার শেষ উম্মতের মাঝে মাহদী প্রকাশ পাবে। আল্লাহ্ তাদের উপর কল্যাণের বারিধারা বর্ষণ করবেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে গচ্ছিত সকল খনিজ সম্পদ উন্মোচিত হবে। ধন সম্পদের সুসম বণ্টন নিশ্চিত করবে। সাত বা আট বছর সে রাজ্বত করবে...[মুস্তাদরাকে হাকিম] অপর বর্ণনায়- তাঁর মৃত্যুর পর আর কোন কল্যাণ থাকবে না...[মুসনাদে আহমদ] বুঝা গেল মাহদীর মৃত্যুর পর পুনরায় ফেতনা ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে। বিন বায (রহ:) বলেন: মাহদী প্রকাশের বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ। এ ব্যাপারে নবী কারীম (সা:) থেকে প্রচুর হাদিস প্রমাণিত রয়েছে। একাধিক সাহাবী থেকে পরস্পর বর্ণনা সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্র অপার রহমতে তিনি শেষ জামানায় ইমাম হবেন। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। অন্যায়-অবিচার দমন করবেন। শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবেন। তার আত্মপ্রকাশে উম্মতের মধ্যে জিহাদের চেতনা ফিরে আসবে। সকলেই এক কালেমার পতাকা তলে একত্রিত হয়ে যাবে। মাহদী সংক্রান্ত কিছু হাদীস: আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- আমি তোমাদেরকে মাহদীর সুসংবাদ দিচ্ছি। ভূ-কম্পন ও মানুষের বিভেব কালে তার আগমন ঘটবে। ন্যায় নিষ্ঠায় পৃথিবী ভরে দেবে, ঠিক যেমন অন্যায় অবিচার ভরে গিয়েছিল। আসমান জমিনের অধিবাসীগণ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। ধন সম্পদের সুসম বণ্টন নিশ্চিত করবে। ‘সুসম কি’ জিজ্ঞাসা করা হলে বলেছেন- সমান ভাবে। আল্লাহ্ ন্যায়ের মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মদীকে পূর্ণ করে দিবেন। এমনকি একজন ঘোষক ঘোষণা করবে- কারো কি সম্পদের প্রয়োজন আছে? একজন দাড়িয়ে বলবে-দায়িত্বশীলকে বল- মাহদী আমাকে সম্পদ দিতে বলেছে। দায়িত্বশীল বলবে- উঠাও যা পার! আঁচল ভরে স্বর্ণ রৌপ্য উঠাতে চাইলে লজ্জিত হয়ে বলবে- আমি নিজেকে সবার চেয়ে শক্তিশালী মনে করতাম, কিন্তু আজ এগুলো বহন করতে অপারগ হয়ে গেছি। এ কথা বলে সবকিছু আবার দায়িত্বশীলকে ফিরিয়ে দিতে চাইলে দায়িত্বশীল বলবে- এখানে প্রদত্ত মাল ফেরৎ নেয়া হয় না। এভাবেই মাহদীর রাজত্ব সাত, আট বা নয় বছর পর্যন্ত থাকবে। মাহদীর পর জীবনে আর কোন কল্যাণ থাকবে না... [আল মুসনাদ] আলী (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- মাহদী আমার বংশধর। এক রাত্রিতে আল্লাহ্ পাক তাকে নেতৃত্বের যোগ্য বানিয়ে দেবেন। বুঝাগেল ইমাম মাহদী (মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ) নিজেও জানবেন না যে, হাদিসে উল্লেখিত ব্যক্তিটি তিনিই। আগেভাগে গিয়ে খিলাফতও কামনা করবেন না। নম্রতা বসত নিজেকে তিনি নেতৃত্বের অযোগ্য মনে করবেন। আর তাই প্রবল অনিচ্ছা সত্তেও মানুষ জোর করে তার হাতে বায়াআত হয়ে যাবে। উম্মে সালামা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- মাহদী আমার বংশে ফাতেমার সন্তানদের মধ্যে হবে...[আবু দাউদ] জাবের (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- মরিয়ম তনয় ঈসা (আ:) আসমান হতে অবতরণ করবেন। মুসলমানদের সেনা প্রধান মাহদী তাকে স্বাগত জানিয়ে বলবে- আসুন! নামাযের ইমামতি করুন! ঈসা (আ:) বলবেন না! (বরং তুমিই ইমামতি করো!) তোমাদের একজন অপরজনের নেতা। এই উম্মতের জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে এ এক মহা সম্মান। বুঝা গেল মাহদীর সময়ই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। অতঃপর দাজ্জালকে হত্যা করতে আসমান থেকে ঈসা বিন মারিয়াম (আ:) আবতরন করবেন। ইমাম মাহদীই তখন মুসলিম সেনা প্রধান থাকবেন। ঈসা (আ:) এবং অন্য সকল মুমিন ইমাম মাহদীর পেছনে ফজরের নামায আদায় করবেন। আবু সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন, মরিয়ম তনয় ঈসা যার পেছনে নামায আদায় করবেন, সে আমার উম্মতেরই একজন সদস্য। অর্থাৎ মাহদী নামাযের ইমামতি করবেন। মুসল্লিদের কাতারে ঈসা (আ:) শামিল থাকবেন। জাবের (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- অচিরেই ইরাক বাসীর কাছে খাদ্যদ্রব্য ও রৌপ্যমুদ্রা সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে। আমরা বললাম- কাদের পক্ষ থেকে এরকম করা হবে? উত্তরে বললেন- অনারব। অতঃপর বললেন- অচিরেই শাম-বাসীর কাছে খাদ্যদ্রব্য ও স্বর্ণমুদ্রা সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে। কাদের পক্ষ থেকে করা হবে- প্রশ্নের উত্তরে বললেন- রোমান (খৃষ্টান)। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন- আমার শেষ উম্মতের মাঝে একজন খলীফার আবির্ভাব ঘটবে, বে-হিসাব মানুষের মাঝে সে সম্পদ বিলি করবে। জাবের বিন ছামুরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা আলীকে নিয়ে আমি নবী করীম (সা:) এর দরবারে উপস্থিত হলাম। তিনি তখন বলছিলেন- পৃথিবী সমাপ্তির পূর্বে অবশ্যই বারোজন নিষ্ঠাবান খলীফা অতিবাহিত হবেন। অতঃপত কি যেন বললেন- ঠিক বুঝিনি! আব্বুকে জিজ্ঞেস করলে- সবাই কুরায়েশ বংশের বললেন...[মুসলিম] ইবনে কাছীর (রহ:) বলেন- বুঝা গেল মুসলমানদের খলীফা হিসেবে বারোজন নিষ্ঠা পূর্ণ ব্যক্তির আগমন ঘটবে। তবে শিয়া সম্প্রদায়ের ধারনা কৃত বারোজন নয়; কারন, তাদের অধিকাংশেরই খেলাফত সংক্রান্ত কোন কর্তৃত্ব ছিল না। পক্ষান্তরে প্রকৃত বারোজন খলীফা সবাই কুরায়েশ বংশীয় হবেন এবং মুসলমানদের একচ্ছত্র নেতা হিসেবে আভিভূত হবেন...[তাফছীর ইবনে কাছীর] উম্মুল মুমেনীন উম্মে সালামা (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা:) বলেন- জনৈক খলীফার মৃত্যুকে কেন্দ্র বিরোধ সৃষ্টি হবে। মদিনার একজন লোক তখন পালিয়ে মক্কায় চলে আসবে। মক্কার লোকেরা তাকে খুঁজে বের করে অনিচ্ছা সত্তেও রুকন এবং মাক্কামে ইবরাহীমের মাঝামাঝি স্থানে বায়াআত গ্রহণ করবে। বায়াআতের খবর শুনে শামের দিক থেকে এক বিশাল বাহিনী প্রেরিত হবে। মক্কা-মদিনার মাঝামাঝি বায়দা প্রান্তরে তাদেরকে মাটির নিচে ধ্বসে দেয়া হবে। বাহিনী ধ্বসের সংবাদ শুনে শাম ও ইরাকের শ্রেষ্ঠ মুসলমানগণ মক্কায় এসে রুকন ও মাক্কামে ইবরাহীমের মাঝামাঝি তাঁর হাতে বায়াআত গ্রহণ করবে। অতঃপর বনু কালব সম্বন্ধীয় এক কুরায়শীর আবির্ভাব হবে। শামের দিকে থেকে সে বাহিনী প্রেরণ করবে। মক্কার নব উত্থিত মুসলিম বাহিনী তাদের উপর বিজয়ী হয়ে প্রচুর যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ অর্জন করবে। সেদিন বনু কালবের সর্বনাশ ঘটবে। যে বনু কালব থেকে অর্জিত সম্পদ প্রত্যক্ষ করেনি, সেই প্রকৃত বঞ্চিত। অতঃপর মানুষের মাঝে তিনি সম্পদ বণ্টন করবেন। নববী আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটাবেন। উট যেমন প্রশান্তচিত্তে গলা বিছিয়ে আরাম পায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইসলামও সেদিন ভূ-পৃষ্ঠে প্রশান্তচিত্তে স্থির পাবে। সাত বৎসর এভাবে রাজত্ব করে তিনি ইন্তেকাল করবেন, মুসলমানগণ তার জানায়ায় শরীক হবে...[আবু দাউদ] ত্রিশোর্ধ-জন সাহাবী থেকে মাহদী সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। প্রখ্যাত হাদিস গবেষকগণ শক্তিশালী বর্ণনা-সূত্রে এগুলো বর্ণনা করেছেন। আহলে সুন্নাত সকল উলামা মাহদী প্রকাশের বিষয়ে একমত। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |