Tuesday, 2024-04-30, 4:28 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
নারী পুরুষেরমেয়েদের মন হয় নরম এবং অনুভূতিপ্রবণ। সে কারণে ওদের উপর ভালমন্দ দু’টি দিকেরই প্রভাব অত্যন্ত তীব্র হয়ে থাকে। সুতরাং মেয়েদের যদি সময়মত সুশিক্ষা দেওয়া না হয় তবে এর বিষম ফল পিতা মাতাকে দুনিয়া ও আখেরাতে সমভাবে ভোগ করতে হবে।
{ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহঃ)} কানে দুল পরা ছেলেরা আর প্যান্ট শার্ট পরা মেয়েরা কি জানে, আল্লাহর রাসূল (সা) মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষদের আর পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী মহিলাদের অভিশাপ করেছেন।
[সহীহ বুখারী, ৫৮৮৫] সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমাকে তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের (পবিত্রতার) নিশ্চয়তা দিতে পারবে, আমি তাঁকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে পারবো।" [ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪৭৪]এমন বহু হতভাগী মহিলা আছে যারা স্বামীর সাথে কর্কশ স্বরে কথা বলে কিন্তু কোন উপহাসের পাত্রের সাথে মোহন সুরে সংলাপ ও উপহাস হাসি তামাশা করে। এরা নিশ্চয়ই পরকালেও হতভাগী।
বেগানা নারীর সাথে মুসাহাফা বা হাত মেলানো বৈধ নয়। হাতে মোজা, দস্তানা কিংবা কাপড়ের কভার রেখেও নয়। কামভাব সহকারে হলে তা হাতের ব্যভিচার। (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ, ৪২১৬) করতল চেপে ধরা এবং সুরসুরি দেওয়াও হল তার ইংগিত ! কোণ গম্য নার... ীর দেহ স্পর্শ, বাসে ট্রেনে, হাটে বাজারে, স্কুলে কলেজে, প্রভৃতি ক্ষেত্রে গায়ে গা লাগিয়ে বসা বা চলা, নারী পুরুষের ম্যাচ খেলা ও দেখা ইত্যাদি ইসলামে হারাম। কারণ, এ সবগুলিও অবৈধ যৌনাচারের সহায়ক। সমাজ সংস্কারক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "কোন ব্যক্তির মাথায় লৌহ সুঁচ দ্বারা খোঁচা খাওয়াও ভালো, তবুও যে নারী তার জন্যে অবৈধ তাকে স্পর্শ করা ভালো নয়”। (আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ, আলবানী ২২৬) বাইরে বের হয়ে রমণীর রমনীয়, মোহনীয় ও সৌন্দর্য-গর্বজনক চপল মধুর চলনও ব্যভিচার ও যৌন উত্তেজনার সহায়ক কর্ম। এরা সেই নারী যাদের প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "তারা পুরুষকে আকৃষ্ট করে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হয়; তারা জাহান্নামী” (মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩৫২৪) অনুরূপ খট খট শব্দ বিশিষ্ট উঁচু হিলের জুতা নিয়ে চটপটে চলন, দেহের অলংকার যেমন চুড়ি, খুঁটকাটি, নুপূর, তোরা প্রভৃতির বাজনা বাজিয়ে লাস্যময় চলনও যুবকের মনে যৌন আন্দোলন আনে। সুতরাং এ কর্ম যে হারাম তা বলাই বাহুল্য। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, "তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশে সজোরে পদক্ষেপ না করে…” (সূরা নূর ৩১) সম্পূর্ণ আয়াতটি এই, "ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও”। যেমন পথে চলার সময় পথের মাঝখান দিয়ে চলা নারীর জন্যে বৈধ নয়।(আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ৮৫৬) মহিলাদের জন্য স্বগৃহে গোসলখানা (বাথরুম) করা ওয়াজেব (সিমেন্টের হওয়া জরুরী নয়) এবং ফাঁকা পুকুরে, নদীতে, ঝর্ণায়, সমুদ্রতীরে বা সাধারণ গোসলখানায় গোসল করা তাদের জন্য হারাম। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে নারী স্বগৃহ, স্বামীগৃহ বা মায়ের বাড়ি ছাড়া অন্য স্থানে নিজের পর্দা রাখে (কাপড় খোলে) আল্লাহ্ তার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেন”। (অথবা সে নিজে করে দেয়) (সহীহ আল জামিউস সাগীর অযিয়াতুহ ২৭০ ৮) "যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসলখানায় যেতে না দেয়” (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযি, হাকেম) স্বগৃহ ছেড়ে পরকীয় গৃহে বাস, বান্ধবী বা বান্ধবীর স্বামীর বাড়িতে রাত্রিবাস ইত্যাদিও বিপজ্জনক ব্যভিচারের ছিদ্রপথ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে মহিলা নিজের স্বামীগৃহ ছাড়া অন্য গৃহে নিজের কাপড় খোলে সে আল্লাহ্ আযযা অজাল্লা ও তার নিজের মাঝে পর্দা বিদীর্ণ করে ফেলে”। (সহীহ আল জামিউস সাগীর অযিয়াতুহ ২৭১০) একই কারণে অপরের লজ্জাস্থান(নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত) দেখা এবং একই কাপড়ে পুরুষে পুরুষে কিংবা মহিলা-মহিলায় শয়ন নিষিদ্ধ। (সহীহ তিরমিযি ২২৪৩) পর পুরুষের দৃষ্টিতে মহিলার সর্বশরীর লজ্জাস্থান, বিশেষ করে চক্ষু এমন এক অংগ যার দ্বারা বিপত্তির সূচনা হয়। চোখাচোখি থেকে শুরু হয় কিন্তু শেষ হয় গলাগলিতে। এই ছোট্ট অঙ্গার টুকরো থেকেই সূত্রপাত হয় সর্বগ্রাসী বড় এক অগ্নিকাণ্ডের। 2
তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর সবাই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল; তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ দায়িত্বশীল তার পরিবারের; সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। মহিলা দায়িত্বশীল তার স্বামীর গৃহের (তার সম্পদ ও সন্তানের); সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। ভৃত্যও একজন দায়িত্বশীল, সে জিজ্ঞাসিত হবে তার মুনিবের সম্পদ সম্পর্কে। (এককথায়) তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে।’ [সহীহ বুখারী : ৭১৩৮]
ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবামুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে। [সূরা আন- নূর - ৩]
যে সকল পুরুষ স্ত্রীলোকের রুপ ধারন করে, রাসুলুল্লাহ (সা:) তাহাদিগকে অভিশাপ দিয়ে বলিয়াছেন -তোমাদের গৃহ হইতে তাহাদিগকে বাহির করিয়া দাও। (বুখারী)যে সকল পুরুষ স্ত্রীলোকের বেশ ধারন করে এবং যে সকল স্ত্রীলোক পুরুষের বেশ ধারন করে, আল্লাহ তাহাদের প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করেন। (বুখারী)
নারীকে প্রধান বানিয়ে তার অধীনে কাজ করা জায়েজ নয়। তবে সহযোগী হিসেবে পর্দার সাথে কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই। {ফাতাওয়া মুফতী মাহমুদ-১১/ ৩৭৪-৩৭৫}
ঈমানদার পুরুষ ও নারীদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বলেনঃ-
আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা'আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। [আত-তউবাঃ ৭১] হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্ল...াহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। [আন-নিসাঃ ১৩৫] যে লোক পুরুষ হোক কিংবা নারী, কোন সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণ ও নষ্ট হবে না। [আন-নিসাঃ ১২৪] এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। [আল-বাকারাঃ ১৫৫] হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন। [আল-বাকারাঃ ১৫৩] মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। [আন-নুরঃ ৩০-৩১] নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। [আল-আহযাবঃ ৩৫] হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। [আল-ইমরানঃ ১০২] আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। [আল-আহযাবঃ ৩৬] |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |