Tuesday, 2024-04-30, 9:34 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login
|
My site |
Calendar |
---|
« April 2024 » | Su | Mo | Tu | We | Th | Fr | Sa | | 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |
|
Statistics |
---|
Total online: 1 Guests: 1 Users: 0 |
|
পীর-দরবেশ, ওলী-আউলিয়া এবং কবরে শায়িতদের নিকট দোয়া করা
-
পীর-দরবেশ, ওলী-আউলিয়া এবং কবরে শায়িতদের নিকট দোয়া করা :
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন-
"আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবে না, যে তোমার উপকার করতে পারবে না ও অপকারও করতে পারবে না। যদি তুমি অন্যকে ডাক তাহলে তুমি যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে”। (সূরা ইউনুস ১০:১০৬)
"অতএব আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকবেন না। ডাকলে আযাব প্রাপ্তদের অন্তরর্ভূক্ত হয়ে যাবেন”। (সূরা শুয়ারা ২৬:২১৩)
আল্লাহ সু... বহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন-
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুকে ডাকে যে কেয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হতে পারে? তারা তাদেও ডাকা সম্পর্কে খবরও রাখে না। যখন মানুষকে হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদেও শত্রু হবে এবং তাদের ইবাদতের কথা অস্বীকার করবে”। (সূরা আহকাফ ৪৬: ৫-৬)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অন্যত্র বলেন-
"আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটির মালিকও নয়। তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের সে ডাক শুনে না। শুনলেও তোমাদেও ডাকে সাড়া দেয় না। কিয়ামতের দিন তারা তোমদের শিরকের কথা অস্বীকার করবে। বস্তুত আল্লাহর ন্যায় তোমাদেরকে কেউ অবহিত করতে পারবে না”। (সূরা ফাতিরঃ১৩-১৪)
আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্নিত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে ডাকে,আর এ অবস্থায় মারা যায় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (বুখারী) তেমাদের রবের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ন হয়েছে তোমরা তার অনুসরণ করো এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অলী-আউলিয়াদেরও অনুসরণ করো না। তোমরা অল্প সংখ্যকই তা স্মরণ রাখো”। (সূরা আল-আরাফ ৭:৩ )
-
আমার জন্যে এমন কি (অজুহাত) থাকতে পারে যে, যিনি স্বয়ং আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার দিকে তোমাদের সবাইকে(একদিন) ফিরে যেতে হবে আমি তাঁর ইবাদত করব না ! আমি কি তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন মাবুদ গ্রহণ করতে যাব ? (অথচ) দয়াময় আল্লাহ তায়ালা যদি (আমার) কোন ক্ষতি করতে চান তাহলে ওদের কোনো সুপারিশই তো আমার কোনো কাজে আসবে না, না তারা কেউ আমাকে(ক্ষতি থেকে) উদ্ধার করতে পারবে! (এ স্বত্তেও) যদি আমি এমন কিছু করি তাহলে আমি সুষ্পষ্ট গোমরাহীত নিমজ্জিত হয়ে যাব"। [সূরা ইয়াসিন ২২-২৪]
-
** মাজার ও ভন্ড পীর-মুরীদের পোষ্টমর্টেম -০২ **
মাজারে/ পীরকে সেজদা করা শিরক
ইবাদত একমাত্র আল্লাহর। যেহেতু আল্লাহ তাআলাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা তাই ইবাদতও একমাত্র তাঁর। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। ইবাদত ও উপাসনা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য হতে পারে না। রুকু, সেজদা, দোয়া, যিকির, হজ্ব, কোরবানী ইত্যাদি খালিস ইবাদত। অতএব আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য তা করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন- قل ان ص...لاتى ونسكى ومحياى ومماتى لله رب العلمين لا شريك له وبذلك امرت وانا اول المسلمين ‘বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আমাকে এরই আদেশ করা হয়েছে এবং আমি প্রথম আনুগত্যকারী।-সূরা আনআম : ১৬২-১৬৩
অতএব কেউ যদি গায়রুল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য সেজদা করে, গায়রুল্লাহর নামে কোরবানী করে, গায়রুল্লাহকে সন'ষ্ট করার জন্য তার নাম জপতপ করে, মানবীয় ক্ষমতার উর্ধ্বের কোনো বিষয় গায়রুল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, কোনো মাযার বা দরগাহ্র উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহর মতো তীর্থযাত্রা করে, হারাম শরীফের মতো দরগাহ ও তার চারপাশের অঞ্চলকে তীর্থস্থান মনে করে, মাযার-দরগাহর তওয়াফ করে এবং দরগাহর দেয়ালে ভক্তিভরে চুম্বন করে, মোটকথা, যেসব কাজ আল্লাহ তাআলা তাঁর উপাসনার জন্য নির্ধারণ করেছেন তা গায়রুল্লাহর জন্য করে তাহলে তা হবে সম্পূর্ণ শিরক। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন : তাসাওউফ : তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ, পৃষ্ঠা : ২১২-২২৯
-
আবুযর (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ্ বলেছেন, "হে আদম সন্তান! যদি তুমি আমার কাছে পৃথিবী পরিমাণ পাপ নিয়ে আস আর কোন শিরক না করে আমার সাথে সাক্ষাত কর, নিশ্চয়ই আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব।" [তিরমিযী]
|