Tuesday, 2024-04-30, 6:57 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
সহিহ সুন্নাহ ও আল কোরাআনআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু -
ইসলামিক ভয়েচ চ্যাট রুম IERF সহিহ আকিদা মোতাবেক আলোচনা
>>>>>><<<<<<<
আলহামদুলিল্লাহ ... আরেকটি জুম্মা - সকল দিনের শ্রেষ্ঠ দিনটি আবার ঘুরে এসছে । আপনি কি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন না ? এই দিনটিকে বৃথা নষ্ট হতে দেবেন না কারণ বহু বরকত ও ফজিলত নিহিত রয়েছে আজকের দিনটিতে ♥
নিম্নলিখিতি সুন্নাত গুলো আদায় করতে সচেষ্ট হন : !!►► ১) ফজরের সালাত জামাতে আদায় করুন (আল-বায়হাকী , সহী আল-আলবানি, ১১১৯) ২) সালাত আল-জুম্মার পূর্বের এবং পরের করণীয় ঃ- ... ➲ জুম্মার দিন গোসল করা (বুখারী এবং মুসলিম : # ১৯৫১ এবং # ৯৭৭) ➲ জুম্মার সালাতে শীঘ্র উপস্থিত হওয়া (বুখারী এবং মুসলিম : # ৯২৯ এবং ১৯৬৪) ➲ পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা (আল-তিরমিজি, ৪৯৬) ➲ মনোযোগ সহকারে জুম্মার খুৎবা শোনা (আল-বুখারী ৯৩৪ এবং মুসলিম ৮৫১) ৩) জুম্মার দিন আপনার দুয়া কবুল হবার সেই মুহূর্তটির অনুসন্ধান করুন (বুখারী এবং মুসলিম : # ৯৩৫ এবং # ১৯৬৯) ৪) সূরা কাহাফ তিলাওয়াত (আল-হাকিম, ২/৩৯৯; আল-বায়হাকী, ৩/২৪৯) ৫) আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপর দুরদ পাঠ (ইবনে মাজাহ # ১০৮৫ , আবু দাউদ , # ১০৪৭) তাকওয়ার ইহকালীন উপকারিতা:
১. তাকওয়ার ফলে পার্থিব জগতে আল্লাহ মানুষের কাজগুলো সহজ করে দেন, তারা তাদের জরুরী প্রয়োজন সহজে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: "যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য তার কাজকে সহজ করে দেন।” [সূরা তালাক -০৪] তিনি আরো বলেন: "সুতরাং যে দান করেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করেছে, আর উত্তমকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে, আমি তার জন্য সহজ পথে চলা সুগম করে দেব।” [সূরা লাইল -৫-৭] আমিরুল মুমিনীন ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ "যে ব্যক্তি অযু করে এবং উত্তমরূপে অযু করে, তার শরীর থেকে, এমনকি নখের নিচ থেকেও গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়।"
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৪৫} কুরআন কারীমের আয়াত গোপন করার পরিণাম
সুরা: আল বাকারাহ্ আয়াত নং ১৫৯-১৬০ انَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلْنَا مِنْ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ أُوْلَئِكَ يَلْعَنُهُمْ اللهُ وَيَلْعَنُهُم...ْ اللَّاعِنُونَ (১৫৯) إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَبَيَّنُوا فَأُوْلَئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ (১৬০) অনুবাদ: আয়াত নং ১৫৯:- নিশ্চয় যারা গোপন করে, যা বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি মানুষের জন্য; কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সেই সব লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণেরও। আয়াত নং ১৬০:- তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের কাছে তা বর্ণনা করে দেয়, সে সব লোকের তওবা আমি কবুল করি এবং আমি তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু। এই আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন, যারা মানুষের হেদায়েতের কথা কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পর তা গোপন করে, সেই সব লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত তবে যারা তওবা করে এবং কিতাবের মধ্যে বর্ণিত তথ্যাদি মানুষের কাছে বর্ণনা করে, সে সব লোকের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। ইব্নু কাসীর (রহঃ) ১৫৯-১৬০ নং আয়াতের বর্ণনায় বলেন, এখানে ঐসব লোককে ভীষণভাবে ধমক দেয়া হয়েছে যারা আল্লাহ তা'আলার কথাগুলো এবং শরীয়তের বিষয়গুলো গোপন করতো। কিতাবীরা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রশংসা বিষয়ক কথাগুলো গোপন করে রাখতো। এ জন্যেই এরশাদ হচ্ছে যে, সত্যকে গোপনকারীরা অভিশপ্ত। বিশুদ্ধ হাদীসের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: 'যে ব্যক্তি শরীয়তের কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয় এবং তা সে গোপন করে, কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের লাগাম পরানো হবে।' হযরত আবু হুরাইরা < বলেন: এই আয়াতটি না থাকলে আমি একটি হাদিসও বর্ণনা করতাম না। হযরত বারা বিন আযিব (রাঃ) বর্ণনা করেন: আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সঙ্গে একটি জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: কবরের মধ্যে কাফিরের কপালে এত জোরে হাতুড়ী মারা হয় যে, মানব ও দানব ছাড়া সব প্রাণী ওর শব্দ শুনতে পায় এবং ওরা সবাই তার প্রতি অভিশাপ দেয়। অভিসম্পাতকারীগণ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করে থাকে। এ কথার অর্থ এটাই। অর্থাৎ সব প্রাণীর অভিশাপ তাদের ওপর রয়েছে। হাদীস শরীফে রয়েছে যে, আলেমের জন্যে প্রত্যেক জিনিসই ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে- এমন কি সমুদ্রের মাছও (ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে), এই আয়াতের মধ্যে রয়েছে যে, যারা 'ইলম'-কে গোপন করে আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ, সব মানুষ ও প্রত্যেক অভিসম্পাতকারী অভিসম্পাত করে থাকে। অর্থাৎ প্রত্যেক বাকশক্তিহীন (জীব) অভিসম্পাত দান করে থাকে। এরপর আল্লাহ তা'আলা ঐসব মানুষকে অভিশপ্তদের মধ্য হতে বের করে নেন যারা তাদের এ কাজ হতে বিরত হয় এবং সম্পূর্ণরূপে সংশোধিত হয়। আর পূর্বে যা গোপন করেছিল এখন তা প্রকাশ করে দেয়। সেই 'তওবা' কবুলকারী দয়ালু আল্লাহ এসব মানুষের তওবা কবুল করেছেন। (তাফসির ইব্নু কাসির ১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪৬৫) প্রশ্নঃ (৬৪) মুসিবত নাযিল হলে যে ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হয়, তার হুকুম কি?
উত্তরঃ বালা-মুসিবত নাযিল হওয়ার সময় মানুষ চার স্তরে বিভক্ত হয়ে যায়। যথাঃ- প্রথম স্তরঃ অসন্তুষ প্রকাশ করা। এটি আবার কয়েক প্রকার। ১ম প্রকারঃ আল্লাহ যে বিষয় নির্ধারণ করেছেন, তার কারণে অন্তর দিয়ে আল্লাহর উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যাওয়া। এটা হারাম। কারণ এধরণের অসন্তুষ্টি কখনো কুফরীর দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَ...عْبُدُ اللَّهَ عَلَى حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَى وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ "মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-সংকোচ নিয়ে আল্লাহর এবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়, তবে এবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ইহকালে ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ।” (সূরা হজ্জঃ ১১) ২য় প্রকারঃ কখনো অসন্তুষ্টি কথার মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেমন হতাশা প্রকাশ করা এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দু’আ করা। এটাও হারাম। তৃতীয় প্রকারঃ কখনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেমন গাল চাপড়ানো, জামা-কাপড় ছেড়া, মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলা ইত্যাদি সবই হারাম এবং ধৈর্য্য ধারণের পরিপন্থী। দ্বিতীয় স্তরঃ বিপদের সময় ধৈর্য্য ধারণ করা। যেমন কোন আরবী কবি বলেছেন ‘বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা খুবই কঠিন। কিন্তু এর শেষ পরিণাম খুবই সুমধুর।’ কেননা এই সবর করাটা তার নিকট খুবই কঠিন তবুও সে সবর করে। বিপদগ্রস্ত হওয়াটা যেমন অপছন্দ করে তেমনি তাতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করাটাও তার নিকট অপছন্দনীয়। কিন্তু তার ঈমান তাকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ থেকে বিরত রাখে। মোটকথা সে বিপদে আপতিত হওয়া এবং না হওয়াকে এক মনে করে না। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা ওয়াজিব। কারণ আল্লাহ তায়ালা বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ করার আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ "তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা আনফালঃ ৪৬) তৃতীয় স্তরঃ বিপদ আসার পর সন্তুষ্ট থাকা এবং মুসিবত আসা ও না আসা উভয়কেই সমান মনে করা। তাই বিপদ আসলেও তার কাছে বিপদ সহ্য করা বেশী কঠিন মনে হয় না। গ্রহণযোগ্যমতে এধরণের ছবর মুস্তাহাব। ওয়াজিব নয়। এটা এবং পূর্ববর্তী স্তরের মাঝে পার্থক্য অতি সুস্পষ্ট। বিপদ হওয়া এবং না হওয়া সমান মনে হওয়া সন্তুষ্ট থাকার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এ প্রকারের এবং পূর্বের প্রকারের মাঝে পার্থক্য এই যে, পূর্বের প্রকারে বিপদে আপতিত ব্যক্তি বিপদকে কঠিন মনে এবং ধৈর্য্য ধারণ করে। চতুর্থ স্তরঃ শুকরিয়া আদায় করা। এটা সর্বোচ্চ স্তর। তা এই যে, বিপদের সময় আল্লাহর প্রশংসা করা। কারণ সে ভাল করেই জানে যে, এ সমস্ত বিপদাপদ গুনাহ মোচন এবং ছাওয়াব বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَا مِنْ مُصِيبَةٍ تُصِيبُ الْمُسْلِمَ إِلَّا كَفَّرَ اللَّهُ بِهَا عَنْهُ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا অর্থঃ কোন মুসলিম বিপদাপদে পতিত হলে বিনিময়ে আল্লাহ তাআ’লা তার গুনাহ মোচন করেন। এমন কি শরীরে একটি কাঁটা বিধলেও তার বিনিময়ে গুনাহ মাফ করা হয়। [বুখারী, কিতাবুল মারাজ্ব ওয়াত্ তিব্ব] [ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম - শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন] আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় স্থান হল, মসজিদসমূহ, আর আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট শহর হল, বাজারসমূহ।" [সহীহ মুসলিম,ফযিলত, হাদিস: ৬৭১] |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |