Tuesday, 2024-04-30, 3:28 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login
|
My site |
Calendar |
---|
« April 2024 » | Su | Mo | Tu | We | Th | Fr | Sa | | 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |
|
Statistics |
---|
Total online: 1 Guests: 1 Users: 0 |
|
ওযু-গোসল-তায়াম্মুম
-
এক কাফেলায় একজন অসুস্থ ব্যক্তি ছিলেন। তার শরীরে ক্ষত ছিল। ঘটনাক্রমে রাতে তার স্বপ্নদোষ হল। তিনি সঙ্গীদের জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কি তায়াম্মুম করতে পারি? কেউ একজন বলল, না, পারেন না। তিনি গোসল করলেন এবং এ কারণে তার মৃত্যু হয়ে গেল। কাফেলা মদীনায় ফিরে আসার পর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঘটনাটি জানানো হল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দুঃখিত হলেন এবং বললেন- قتلوه، قتلهم الله، الاسئلوا إذ لم يعلموا، فإنما شفاء العي السؤال’’ অর্থাৎ ‘এরাই তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ তাদের বিনাশ করুন! তাদের যখন জানা ছিল না তখন জিজ্ঞাসা করল না কেন? অজ্ঞতার উপশম তো জিজ্ঞাসা।’ ... {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৩১৮; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৩০৫৬; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৮৬৭} ব্যাখ্যাঃ এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, যাকে মাসআলা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তার যদি জানা না থাকে তাহলে তার অপরিহার্য কর্তব্য, জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া। ভালো ভাবে না জেনে শুধু অনুমান করে উত্তর দেওয়া মারাত্মক অপরাধ, যে কারণে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠিনভাবে ভর্ৎসনা করেছেন।
-
অযু ভংগের কারণসমূহ হল। ??? প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে সেটা প্রস্রাব-পায়খানা, রক্ত, বায়ু, ক্রিমি যাই হোক না কেন। _ শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত,পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে গেলে। _মুখভরে বমি করল অযু ভেংগে যাবে, মুখভরে বমি করার অর্থ হল এত পরিমান বমি আসা যে মুখে সেটা আটকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে একি ভাবের কারণে অল্প অল্প করে কয়েকবার বমি করে আর সেটার সমষ্টিগত পরিমান যদি মুখভরে বমির সমপরিমান হয় তাহলেও অযু ভেংগে যাবে। আর এমনিতে সামান্য পরিমান বমি যা মুখভরে বমির সমপরিমান হয় না তাতে অযু ভাংবে না।
_থথুতে রক্তের পরিমান যদি থুথুর সমপরিমান বা থুথু থেকে বেশি হয় তাহলে অযু ভেংগে যাবে।
_বেহুশ বা পাগল হলে।
_ চিত বা কাত বা উপুড় [উপুড় হয়ে ঘুমানো নিষেধ] ঘুমালে অযু ভেংগে যাবে, এভাবে নিতম্বের একপার্শ্বে ভর করে ঘুমালেও অযু ভেংগে যাবে। কেউ যদি কোন কিছুতে ঠেস দিয়ে এমনভাবে ঘুমায় যে ঠেস দেয়া বস্তুটি সরিয়ে নিলে সে পড়ে যাবে- এক্ষেত্রে মলদ্বার যদি আসন থেকে উঠা থাকে তাহলে সর্বসম্মত মতে অযু ভেংগে যাবে। আর যদি মলদ্বার আসনের সাথে ভালভাবে চাপা অবস্থায় থাকে যে বায়ু নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাহলে অধিকাংশ ফকীহদের মতে অযু ভাংবে না।
_নামাজের মধ্য এরকম শব্দ করে হাসা যে পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে এরকম শব্দ করে হাসলেও অযু ভেংগে যাবে। আর যদি এরকম শব্দ করে হাসে যে শুধু নিজে শুনতে পায় পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে না তাহলে অযু ভাংবে না বাকি নামাজ ভেংগে যাবে। আর যদি এরকমভাবে হাসে যে হাসির শব্দ অন্যলোক শুনতে পাবেই না এমনকি নিজেও শুনতে পায় না তাহলে এতে অযু বা নামাজ কোনোটাই ভাংবে না।
এই হল অযু ভাংগার প্রধান ও মৌলিক কারণ সমূহ। এছাড়া আরো কিছু শাখাগত কারণ রয়েছে যেমন স্ত্রীলোকের স্তন থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু বের হয়ে আসলে এবং ব্যাথা অনুভুত হলে, যৌনিতে আংগুল প্রবেশ করালে অযু ভেংগে যাবে। বাকি এসব সচারাচর এমন হয় না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে অযু-নামাজের সমস্ত মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে সহিহভাবে দ্বীনের উপর চলার তোফিক দান করেন।
-
অজানা রোগের চিকিৎসাই হচ্ছে জিজ্ঞেস করাঃ
জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমরা একসফরে বের হ’লাম। হঠাৎ আমাদের একজনের মাথায় একটা পাথরের চোট লাগল এবং তার মাথা জখম করে দিল। অতঃপর তার স্বপ্নদোষ হ’ল এবং সে তার সাথীদেরকে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি এ অবস্থায় আমার জন্য তায়াম্মুমের অনুমতি আছে বলে মনে কর? তারা বলল, আমরা তোমার জন্য অনুমতি আছে বলে মনে করি না। কেননা তুমি পানি পাচ্ছ। সুতরাং সে গোসল করল আর এতে সে মারা গেল।
অতঃপর আমরা যখন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে আসলাম, তখন তাঁকে এই সংবাদ দেওয়া হ’ল। তিনি বললেন, ‘তারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন। তারা যখন জানে না তখন অন্যদেরকে জিজ্ঞেস করল না কেন? কেননা অজানা রোগের চিকিৎসাই হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। অথচ তার জন্য যথেষ্ট ছিল, তায়াম্মুম করা এবং তার জখমের উপর একটি পট্টি বাঁধা’।
[ আবু দাউদ, মিশকাত, ‘তায়াম্মুম’ অনুচ্ছেদ, হা/৪৯৬, বঙ্গানুবাদ, এমদাদিয়া
|