Tuesday, 2024-04-30, 4:10 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
শিরকের উৎপত্তি সর্বপ্রথম পৃথিবীতে : আদম (আঃ) ও নূহ (আঃ)-এর মধ্যকার ব্যবধান প্রায় সহস্রাব্দ ছিল। এ সময় মানুষ তাওহীদের প্রতি বিশ্বাসী ছিল। সে সময় কোন শিরক পৃথিবীতে ছিল না। দুনিয়াতে প্রথম শিরক সংঘটিত হয়েছিল নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের মধ্যে। আর ত... া হয়েছিল সৎ ও বুযর্গ লোকদের মাধ্যমে।
আল্লাহ বলেন, ‘তারা বলল তোমরা তোমাদের উপাস্যদের ত্যাগ কর না, আর তোমরা ওয়াদ, ইয়াগূছ, ইয়াউক এবং নাসরকেও ত্যাগ কর না’ (নূহ ২৩)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মহানবী (ছাঃ) বলেছেন, এ আয়াতে যে ক'টি নাম এসেছে এগুলো নূহ (আঃ) এর কওমের বুযর্গ,নেককার লোকদের নাম। তাদের মৃত্যুর পর শয়তান ঐ সম্প্রদায়ের লোকদের প্ররোচিত করল, তারা যেন ঐসব বুযর্গগণ যেসব আসরে বসতেন সেখানে তাদের প্রতিমা, মূর্তি বানিয়ে রাখে এবং তাদে নামে এগুলোর নামকরণ করে। তারা তাই করল। তবে প্রথমে এগুলোর উপাসনা হত না। কিন্তু এসব লোক মৃত্যুবরণ করার পর ক্রমান্বয়ে তাওহীদের জ্ঞান বিস্মৃত হল, তখন এগুলোর শ্রদ্ধা, উপাসনা ও পূজা হতে লাগল (বুখারী, হা/৪৯২০) হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা শিরক থেকে বাচুন : প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা:) বলেছেন, "আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা শিরক।" বুখারী ৬৬৪৬, আবু দাউদ ৩২৫১, তিরমিযী ১৫৩৫। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করার উদাহরণ : নবী বা পীরের নামে কসম করা, কারো নিজের বা ছেয়ে মেয়েদের শরীর্, মাথা বা বুকে ছুয়ে কিছু বলা, বিদ্যা, বই, মাটি ছুয়ে শপথ করা, পশ্চিম দিকে ফিরে কিছু বলা ইত্যাদি এই সবগুলো শিরক। তবে কোরানের কসম শিরক ন...া, কারণ কোরান আল্লাহর কালাম যা আল্লাহর সিফাতের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু মুসহাফ (কোরানের কপি অর্থাত বই ফরম্যাট এ) ছুয়ে কসম করা যাবেনা, এই বই মানুষের ছাপানো, যা আল্লাহর গুণের সাথে সম্পর্কিত না। আর এতে অনেক সময় ভুলও থাকে। সংক্ষেপে, এইভাবে বলা যাবে, আমি কোরানের কসম করে বলছি। কিন্ত আমি কোরান ছুয়ে বলছি,ু এটা বলা যাবেনা। তবে যদি একান্তই দরকারী হয়, তাহলে মুমিনদের উচিত আল্লাহর নামেই কসম করা, কারণ আল্লাহর রাসুল (সা:) জীবনে একদিনও আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো কিছুর নামে কসম করেন নি (এমনকি কোরানেরও না)। আমাদের উচিত রাসুল (সা:) এর ইসলাম (অর্থাত সুন্নাহ) অনুসরণ করা এবং ভারতীয় ইসলামকে (শিরক আর বিদাত মিশ্রিত) অবশ্যই ঘ্রীণা করা। ্ উল্লেখ্য, বিজ্ঞ আলেমরা এই শিরককে ছোটো শিরক বলে চিহ্নিত করেছেন, অর্থাত যেই শিরক করে কেউ যদি তোওবা না করে মারা যায় তাহলে সে শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবেনা। কিন্তু এই শিরক করলে কেউ কাফির, মুশরিক বা চিরজাহান্নামী হবেনা। ১ ----
শাব্দিক অর্থে শিরক মানে অংশীদারিত্ব, কোন কিছুতে অংশীদার সাব্যস্ত করা। ইসলামের পরিভাষায় এর অর্থ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে কোন বিষয়ে কোন অংশীদার স্থির করা। তিন প্রকারের তাওহীদ (তাওহীদ আর রুবুবিয়্যাহ, তাওহীদ আল আসমা ওয়া সিফাত এবং তাওহীদ আল ইবাদাহ), শিরকও এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে। শিরক হতে পারে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে, তাঁর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে ক...িংবা তাঁর ইবাদাতের ক্ষেত্রে। শিরকের ভয়াবহ পরিণতি: "আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করার অপরাধ অবশ্যই ক্ষমা করবেন না, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা এর চেয়ে কম (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।” (সূরা আন নিসা, ৪ : ৪৮) শিরকপূর্ণ ধ্যান-ধারণা ও রীতি: কোন মানুষকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রহমত বন্টনের অধিকারী বলে মনে করা। কোন মানুষকে (পীর, ফকির, দরবেশ) কোন বিপদকে প্রতিহত করতে সক্ষম, কিংবা কোন কল্যাণ এনে দিতে সক্ষম বলে মনে করা। উল্লেখ্য যে আমাদের দেশে বাবে রহমত নামক একটি স্থান রয়েছে যেখানে মানুষ আল্লাহর রহমত লাভের আশায় গিয়ে থাকে। সেখানে আল্লাহর রহমত তো পাওয়া যাবেই না, বরং অন্য একজন ব্যক্তি আল্লাহর রহমত বন্টন করছে বলে মনে করার ফলে শিরকের মত ভয়াবহ অপরাধে অপরাধী হতে হবে। কবরে শায়িত কোন ধার্মিক ব্যক্তির নিকট কোন দু’আ পেশ করা, মাজারে গিয়ে কবরবাসীর কাছে কিছু চাওয়া, কবরবাসীর উদ্দেশ্যে সাজদাহকরা, কিংবা কবরবাসী কবরে শুয়ে মানুষের জীবনের বিভিন্ন দিক, এবং ইহজগতের বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বলে মনে করা। "আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন বস্তুসমূহের ইবাদত করে যারা তাদের কোন অপকারও করতে পারবে না এবং তাদের কোন উপকারও করতে পারে না, আর তারা বলেঃ এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী;তুমি বলে দাওঃ তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ের সংবাদ দিচ্ছ যা তিনি অবগত নন, না আকাশ সমুহে, আর না জমীনে? তিনি পবিত্র ও তাদের মুশরিকী কার্যকলাপ হতে অনেক ঊর্ধ্বে।" [সূরা ইউনুসঃ ১৮] |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |