Tuesday, 2024-04-30, 7:06 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login

My site

Site menu
Calendar
«  April 2024  »
SuMoTuWeThFrSa
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 1
    Guests: 1
    Users: 0

    বিয়ে না-জায়েয হওয়ার পক্ষে

    আমরা এবারে মেয়েদের অভিভাবকহীন বিয়ে না-জায়েয হওয়ার পক্ষে কতিপয় হাদীস এবং সহাবীগণ থেকে বর্ণিত আসার উল্লেখ করছি :
    আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদীসের মধ্যে রসূূল (সাঃ) বলেছেন :
    : ((أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا، فَ...نِكَاحُهَا بَاطِلٌ، فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ، فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ، فَإِنْ دَخَلَ بِهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا، فَإِنْ اشْتَجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ))
    ১। ''যে কোন নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। (এরূপ বিয়ে ঘটে গেলে আর বাতিল বিয়ের) স্বামী যদি তার সাথে মিলিত হয়ে যায় তাহলে সে তার (নারীর) গুপ্তাঙ্গ থেকে যা ভোগ করেছে এর বিনিময়ে মহিলা মাহ্র পাবে। তারা (অভিভাবকরা) যদি এ ব্যাপারে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তাহলে সুলতানই (শাসকই) তার অভিভাবক গণ্য হবে যার কোন অভিভাবক নেই।'' [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্, আহমাদ (২৩৬৮৫, ২৩৮৫১), ইবনু আবী শাইবাহ্, ইমাম ত্বহাবী ''শারহু মা'আনিল আসার'' গ্রন্থে, ইমাম শাফে'ঈ ''আল-উম্মু'' গ্রন্থে, ইবনুল জারূদ, ইবনু হিব্বান, দারাকুতনী, হাকিম, বাইহাক্বী ও দারেমী (২১৮৪) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইয়াহইয়া ইবনু মা'ঈন, ইমাম ত্বহাবী ও শাইখ আলবানী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন, দেখুন ''সহীহ্ আবী দাঊদ (২০৮৩), ''সহীহ্ তিরমিযী'' (১১০২), ''সহীহ্ ইবনু মাজাহ্'' (১৮৭৯), ''ইরউয়াউল গালীল'' (১৮৪০) (এ গ্রন্থে শাইখ আলবানী এর সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন), ''সহীহ্ জামে'ইস সাগীর'' (২৭০৯), ''মিশকাত'' তাহকীক্ব আলবানী (৩১৩১)]।
    عَنْ أبي موسى الْأَشْعَرِيِّ أن رسول الله(সাঃ) قال: ((لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ))
    ২। আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, রসূল (সাঃ) বলেছেন : ''অভিভাবক ছাড়া কোন বিয়েই হবে না''। [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্, আহমাদ (১৯০২৪, ১৯২৪৭) বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটিও সহীহ্, দেখুন ''সহীহ্ আবী দাঊদ (২০৮৫), ''সহীহ্ তিরমিযী'' (১১০১), ''সহীহ্ ইবনু মাজাহ্'' (১৮৮১), ''ইরউয়াউল গালীল'' (১৮৩৯), ''সহীহ্ জামে'ইস সাগীর'' (৭৫৫৫), ''মিশকাত'' তাহকীক্ব আলবানী (৩১৩০)। হাদীসটিকে ইবনু হিব্বান এবং হাকিমও সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন]।
    এ হাদীসটি আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রাঃ), আয়েশা (রাঃ), আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ), ইমরান ইবনু হুসায়েন (রাঃ) ও আনাস (রাঃ)ও বর্ণনা করেছেন।
    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلَا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَإِنَّ الزَّانِيَةَ هِيَ الَّتِي تُزَوِّجُ نَفْسَهَا.
    ৩। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন : রসূল (সাঃ) বলেছেন : ''কোন নারী কোন নারীর বিয়ে দিবে না এবং নারী নিজে নিজের বিয়ে দিবে না। কারণ, ব্যভিচারী নারী নিজেই নিজের বিয়ে দেয়।'' [হাদীসটি ইবনু মাজাহ্ (১৮৮২) ও দারাকুতনী বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির দাগ দেয়া শেষাংশ বাদে বাকী অংশ সহীহ্। দেখুন ''সহীহ্ ইবনে মাজাহ্'' (১৮৮২), ''ইরউয়াউল গালীল'' (১৮৪১), ''সহীহ্ জামে'ইস সাগীর'' (৭২৯৮)]।
    নিম্নের ভাষাতেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَفَعَهُ قَالَ ্র لاَ تُنْكِحُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلاَ تُنْكِحُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا গ্ধ. وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ كَانَ يُقَالُ الزَّانِيَةُ تُنْكِحُ نَفْسَهَا.
    আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণিত হয়েছে, রসূল (সাঃ) বলেন : ''নারী নারীর বিয়ে দিবে না এবং নারী নিজে নিজের বিয়ে দিবে না। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন : বলা হতো যে, ব্যভিচারী নারীই নিজে নিজের বিয়ে দিয়ে থাকে। [এটি দারাকুতনী (৮/৩৩১, ৩৩২ -৩৫৮৬, ৩৩৮৭), বাইহাক্বী ''সুনানুল কুবরা'' (৭/১১০) এবং ''মা'রিফাতুস সুনান অল-আসার'' গ্রন্থে (১১/২৪০-৪৩০৯)]।
    ৪। অন্য হাদীসের মধ্যে এসেছে যেরূপ অভিভাবকের অনুমতি এবং সম্মতি ব্যতীত বিয়ে হয় না অনুরূপভাবে দু'জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী ব্যতীতও বিয়ে শুদ্ধ হয় না :
    عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- ্র لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِىٍّ وَشَاهِدَىْ عَدْلٍ فَإِنْ تَشَاجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِىُّ مَنْ لاَ وَلِىَّ لَهُ গ্ধ
    আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন : রসূল (সাঃ) বলেছেন : অভিভাবক এবং দু'জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী ছাড়া বিয়েই হবে না। যদি তারা মতবিরোধ করে তাহলে যার কোন অভিভাবক নেই সুলতানই (শাসকই) হচ্ছে তার অভিভাবক। [হাদীসটি দারাকুতনী তার ''সুনান'' গ্রন্থে (৮/৩২৪- ৩৫৭৯), বাইহাক্বী ''সুনানুল কুবরা'' গ্রন্থে (৭/১২৫) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সহীহ্, দেখুন ''সহীহ্ জামে'ইস সাগীর'' (৭৫৫৭), ''ইরউয়াউল গালীল'' (১৮৬০)। হাদীসটি ইমরান ইবনু হুসায়েনও বর্ণনা করেছেন।
    ৫। আরেকটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : {لَا نِكَاحَ إلَّا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ فَهُوَ بَاطِلٌ ، فَإِنْ تَشَاجَرُوا ، فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ }
    আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন : রসূল (সাঃ) বলেছেন : অভিভাবক এবং দু'জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী ছাড়া বিয়েই হবে না। এরূপ শর্ত ব্যতীত যে বিয়ে হবে সে বিয়ে বাতিল। অতঃপর তারা (অভিভাবকগণ) যদি মতবিরোধ করে তাহলে যার কোন অভিভাবক নেই সুলতানই (শাসকই) হচ্ছে তার অভিভাবক। [হাদীসটি ইবনু হিব্বান তার ''সাহীহ্'' গ্রন্থে (১৭/১৫৩-৪১৫১) বর্ণনা করেছেন। দেখুন ''নাসবুর রায়া তাখরীজু আহাদীসিল হিদায়্যাহ্'' (৫/৪৮৬), ''নাইলুল আওতার'' (৯/৪৯৩-২৬৭৪)]।
    ৬। আরেকটি হাদীসের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে :
    عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النِّكَاحَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ عَلَى أَرْبَعَةِ أَنْحَاءٍ فَنِكَاحٌ مِنْهَا نِكَاحُ النَّاسِ الْيَوْمَ يَخْطُبُ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ وَلِيَّتَهُ أَوْ ابْنَتَهُ فَيُصْدِقُهَا ثُمَّ يَنْكِحُهَا...
    উরওয়া ইবনুয যুবায়ের হতে বর্ণিত হয়েছে, নাবী (সাঃ)-এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, জাহেলিয়্যাতের যমানায় চার ধরনের বিয়ে প্রথা চালু ছিল। সেগুলোর মধ্য থেকে বর্তমানে লোকদের মাঝে প্রচলিত পদ্ধতিটিই হচ্ছে বিয়ের (একমাত্র বৈধ) পদ্ধতি। (তা হচ্ছে) কোন ব্যক্তি তার অভিভাবকত্বে থাকা মহিলা অথবা তার মেয়ের ব্যাপারে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বিয়ের প্রস্তাব উপস্থাপন করবে। (সে সম্মত হলে) মেয়ের জন্য মাহ্র নির্ধারিত এবং নির্দিষ্ট করবে অতঃপর মেয়ের আক্দ সম্পন্ন করবে। ... [সহীহ্ বুখারী (৫১২৭) ও আবূ দাঊদ (২২৭২)]। এ হাদীসের মধ্যে যে একমাত্র বৈধ বিয়ের পদ্ধতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে তাতে কিন্তু সুস্পষ্টভাবে অভিভাবকের দায়িত্বের কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব অভিভাবক ছাড়া বিয়ের প্রশ্নই আসে না।
    মেয়ের অভিভাবকহীন বিয়ে অবৈধ হওয়ার স্বপক্ষে সহাবীগণ থেকে বর্ণিত আসার :
    ১। সহাবীগণ অভিভাবকহীন বিয়ে অবৈধ হওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য ছিলেন। ইবনুল মুনযির এ মর্মে ইজমা'র বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
    ونقل الحافظُ عن ابن المنذر في (الفتح ৯/১৮৭) قوله : " إنّه لا يُعرف عن أحد من الصحابة خلاف ذلك".
    হাফিয ইবনু হাজার ইবনুল মুনযির হতে ''ফাতহুল বারী'' গ্রন্থে (৯/১৮৭) উল্লেখ করেছেন তিনি বলেন : কোন একজন সহাবী হতেও জানা যায় না যে, তিনি অভিভাবকহীন বিয়ে অবৈধ হওয়ার বিপক্ষে গেছেন।
    ২। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে :
    وقالت عائشة رضي الله عنها زوجوا فإن النساء لا يزوجن واعقدوا فإن النساء لا يعقدن...
    আয়েশা (রাঃ) বলেন : তোমরা (পুরুষরা) বিয়ে দাও কারণ নারীরা বিয়ে করাতে পারে না। তোমরা (পুরুষরা) আক্দ সম্পন্ন কর। কারণ নারী আক্দ করাতে পারে না ...। [শারহুল কাবীর লি ইবনু কুদামাহ্ (৭/৪২২) ও ''মুগনী'' (১৪/৩৯৩)।
    ৩। অভিভাবকহীন বিয়ের ব্যাপারে উমার (রাঃ)-এর ভূমিকা :
    قال عمر ابن الخطاب رضي الله عنه : لا تَنْكِحُ الْمَرْأَةُ اِلاَّ بِإِذْنِ وَلِيِّهَا أَوْ ذَوِى الرَّأْىِ مِنْ أَهْلِهَا أَوِ السُّلْطَانِ.
    বর্ণনা করা হয়েছে যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন : কোন মহিলা (মেয়ে) তার অভিভাবক অথবা তার পরিবারের সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকারী অথবা শাসকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারবে না। [আসারটি বাইহাক্বী ''সুনানুল কুবরা'' গ্রন্থে (৭/১১১), দারাকুতনী ''সুনান'' গ্রন্থে (৮/৩৩৫- ৩৫৮৮), ইমাম শাফে'ঈ ''আল-উম্ম'' গ্রন্থে (৭/২৩৫) বর্ণনা করেছেন]।
    أن عمر ابن الخطاب رد نكاح امرأة نكحت بغير اذن وليها. (المحلى : ৯/৪৫৪).
    ইবনু হায্ম ''আল-মুহাল্লা'' গ্রন্থে (৯/৪৫৪) বলেন : উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এক মহিলার বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিলেন যে তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করেছিল।
    جَمَعَتْ الطَّرِيقُ رَكْبًا ، فَجَعَلَتْ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ ثَيِّبٌ أَمْرَهَا بِيَدِ رَجُلٍ غَيْرِ وَلِيٍّ فَأَنْكَحَهَا ، فَبَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ ، فَجَلَدَ النَّاكِحَ وَالْمُنْكَحَ وَرَدَّ نِكَاحَهَا رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ وَالدَّارَقُطْنِيّ .
    বর্ণনা করা হয়েছে যে, 'রাস্তা কতিপয় ভ্রমনকারীকে একত্রিত করে ফেলল। তাদের মধ্য থেকে পূর্বে বিবাহিতা এক মহিলা তার নিজের বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবক ছাড়া অন্য এক ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব অর্পন করলে সে তার বিয়ে দিয়ে দেয়। অতঃপর এ সংবাদ উমার (রাঃ)-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বিবাহকারী এবং যাকে বিয়ে করা হয়েছে উভয়কে বেত্রাঘাত করলেন এবং মহিলার বিয়েকে প্রত্যাখ্যান করলেন।' [আসারটি ইমাম শাফে'ঈ ''মুসনাদুশ শাফে'ঈ'' গ্রন্থে (১/২৯০-১৩৮৭) ও ''আল-উম্ম'' গ্রন্থে (৫/২১), দারাকুতনী তার ''সুনান'' গ্রন্থে (৮/৩২১- ৩৫৭৬, অথবা ৩/২২৫-২০), আব্দুর রায্যাক তার ''মুসান্নাফ'' গ্রন্থে (৬/১৯৮-১০৪৮৬), বাইহাক্বী তার ''সুনানুল কুবরা'' গ্রন্থে (৭/১১১-১৩৪১৭), বর্ণনা করেছেন।]
    উমার (রাঃ) থেকে আরো বর্ণনা করা হয়েছে :

    أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أُتِيَ بِنِكَاحٍ لَمْ يَشْهَدْ عَلَيْهِ إِلَّا رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ فَقَالَ هَذَا نِكَاحُ السِّرِّ وَلَا أُجِيزُهُ وَلَوْ كُنْتُ تَقَدَّمْتُ فِيهِ لَرَجَمْتُ.
    ইমাম মালেক ''আল-মুওয়াত্তা'' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট এক বিয়ের ঘটনা নিয়ে আসা হয়েছিল যে বিয়েতে একজন পুরুষ এবং একজন নারী সাক্ষী ছিল। তিনি বললেন : এ বিয়ে হচ্ছে গোপন বিয়ে এ বিয়ের বৈধতা আমি দেব না। আমি যদি এ বিয়ের ব্যাপারে আরো অগ্রসর হতাম তাহলে আমি পাথর মারতাম (মারার সিদ্ধান্ত নিতাম)। [''মুওয়াত্তা মালেক'' (১১৩৬), ''আস-সুনানুল কুবরা'' (৭/১২৬)]।
    উল্লেখ্য অভিভাবককে না জানিয়ে অনুমতি ছাড়াই বিয়ে একটি গোপন বিয়ে। আর ইসলাম যে গোপন বিয়ে সমর্থন করে না, উমার (রাঃ)-এর সিদ্ধান্তই তার প্রমাণ বহন করছে।
    ৪। অভিভাবকহীন বিয়ের ব্যাপারে আলী (রাঃ)-এর অবস্থান :
    عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ : مَا كَانَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ فِي النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ مِنْ عَلِيٍّ ، كَانَ يَضْرِبُ فِيهِ رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ )
    শা'বী হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন : নাবী (সাঃ)-এর সহাবীগণের মধ্যে অভিভাবকহীন বিয়ের ব্যাপারে আলী (রাঃ)-এর চেয়ে বেশী কঠোরতা প্রদর্শনকারী কেউ ছিলেন না। তিনি এরূপ বিয়ের কারণে প্রহার করতেন। [আসারটি দারাকুতনী ''সুনান'' গ্রন্থে (৮/৩৩৭- ৩৫৮৯/ অন্য কপিতে : ৩/২২৯-৩৩), ইবনু আবী শাইবাহ্ ''মুসান্নাফ ফিল আহাদীসে অল-আসার'' গ্রন্থে (৩/৪৫৪-১৫৯২২), বাইহাক্বী ''সুনানুল কুবরা'' গ্রন্থে (৭/১১১-১৩৪২২), ইবনু হুসাম হিন্দী ''কানযুল ওম্মাল..'' গ্রন্থে (১৬/৭৫১-৪৫৭৭০) ও শাওকানী ''নাইলুল আতার'' গ্রন্থে (৬/১৭৮) ও ইবনু কুদামাহ্ ''আল-মুগনী'' গ্রন্থে (৭/৩৪৪) উল্লেখ করেছেন]।
    عن على رضى الله عنه قال ايما امرأة نكحت بغير إذن وليها فنكاحها باطل لا نكاح الا بإذن ولى - هذا اسناده صحيح. (أخرجه البيهقي: (৭/১১১).
    আলী (রাঃ) হতে আরো বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন : যে কোন মহিলা তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল। অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে হয় না। [আসারটি বাইহাক্বী ''সুনানুল কুবরা লিল-বাইহাক্বী'' গ্রন্থে (৭/১১১) বর্ণনা করে বলেছেন : এ সনদটি সহীহ্। তার উদ্ধৃতিতে ইবনু হুসাম হিন্দী ''কানযুল ওম্মাল..'' গ্রন্থে (১৬/৭৫০-৪৫৭৬৮) হাদীসটি উল্লেখ করেছেন]।
    সমাজ এবং সুস্থ বিবেকও অভিভাবকহীন বিয়েকে সমর্থন করে না :
    আমরা যদি সমাজিকভাবে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখি তাহলে দেখব। কোন প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তিই তার মেয়ে কর্তৃক নিজে নিজে (তাকে (অভিভাবককে) না-জানিয়ে এবং তার সম্মতি ছাড়া) বিয়ে করে নেয়াকে সমর্থন করে না। সমাজের মধ্য থেকে হাজারে দু'একজন যারা এরূপ গোপন বিয়েকে সমর্থন করে, তারা আসলেই ইসলামী বিধি বিধানের ধার ধারে না। আরেকটু ভেবে দেখুন, ইসলাম যদি এরূপ গোপন বিয়েকে সমর্থনই করতো তাহলে মেয়ে গোপনে বিয়ে করবে কেন? বরং মেয়ে ও ছেলে নিজেরাও বুঝে যে, এরূপ বিয়ে সমর্থনযোগ্য নয়। অতএব সমাজ এবং সুস্থ বিবেকও এরূপ অভিভাবকহীন বিয়েকে সমর্থন করে না। বরং ঘৃণা করে। সাধারণত সমাজের কাছে এ বিয়ে করা মেয়ে-ছেলেরা ধিকৃত হয় এবং সমালোচনার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়।
    দ্বিতীয়ত : অভিভাবকহীন বিয়ে সম্পর্কে দ্বিতীয় মত হচ্ছে এই যে, অভিভাবক ছাড়াই প্রাপ্তা বয়স্কা একজন যুবতী নারী বিয়ে করতে পারবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন : অভিভাবকের অনুমোদনের উপর তাদের বিয়ে ঝুলে থাকবে যদি অনুমোদন দেয় তাহলে সঠিক হবে আর অনুমোদন না দিলে সঠিক হবে না। আবার কেউ বলেছেন যে, পূর্বে একবার বিবাহিতা বর্তমানে বিধবা এরূপ নারী অভিভাবক ছাড়াই বিয়ে করতে পারবে আর যদি কুমারী যুবতী মেয়ে হয় তাহলে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করতে পারবে না।
    এ মতের স্বপক্ষের দলীলগুলো উল্লেখ পূর্বক সংক্ষেপে তাদের ব্যাখ্যাগুলো খণ্ডন করা হলো :
    قال الترمذي: وَقَدْ احْتَجَّ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ بحديث ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ(সাঃ) قَالَ: ((الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا، وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا، وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا))، وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا احْتَجُّوا بِهِ، لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ (সাঃ) : ((لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ))، وَهَكَذَا أَفْتَى بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بَعْدَ النَّبِيِّ (সাঃ) فَقَالَ: ((لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ))، وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ (সাঃ) : ((الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا)) عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْوَلِيَّ لَا يُزَوِّجُهَا إِلَّا بِرِضَاهَا وَأَمْرِهَا، فَإِنْ زَوَّجَهَا فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ.
    ইমাম তিরমিযী বলেন : কোন কোন মানুষ অভিভাবক ছাড়াই বিয়ে হয়ে যাওয়ার স্বপক্ষে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন, রসূল (সাঃ) বলেন : ''বিধবা নারী তার নিজের ব্যাপারে তার অভিভাকের চেয়ে বেশী হক্বদার। আর কুমারী [অবিবাহিতা] নারী থেকে (বিয়ের) সম্মতিমুলক অনুমতি গ্রহণ করতে হবে আর তার চুপ থাকাই হচ্ছে তার সম্মতি।'' [মুসলিম (১৪২১), তিরমিযী (১১০৮), নাসাঈ (৩২৬০, ৩২৬১), আবূ দাঊদ (২০৯৮), আহমাদ (১৮৯১)]।
    এ হাদীসের প্রথম অংশ (الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا) দ্বারা এ মতের অনুসারীগণ দলীল গ্রহণ করে বুঝাতে চেয়েছেন যে, এখানে উল্লেখিত ''আল-আইয়েম'' দ্বারা বিধবা এবং কুমারী যুবতী নারী উভয়কেই বুঝানো হয়েছে (যাদের স্বামী নেই) এবং এ শ্রেণীর প্রাপ্তা বয়স্কা মেয়ের ক্ষেত্রে সে নিজেই নিজের ব্যাপারে তার অভিভাবকের চেয়ে বেশী হক্বদার। অতএব সে তার বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবক ছাড়াই বিয়ে করতে পারবে। এ মতের স্বপক্ষে সর্বাপেক্ষা বেশী শক্তিশালী দলীল হচ্ছে এটিই।
    ইমাম তিরমিযী বলেন : কিন্তু এ হাদীসের মধ্যে যে উদ্দেশ্যে তারা দলীল গ্রহণ করেছেন তা নেই। কারণ এ হাদীসের বর্ণনাকারী ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি নাবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন : ''অভিভাবক ব্যতীত বিয়েই হয় না।'' আর নাবী (সাঃ)-এর পরে ইবনু আব্বাস (রাঃ)ও এ ফাতওয়াই প্রদান করতেন। কারণ, বিদ্বানদের নিকট নাবী (সাঃ)-এর ((الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا)) এ বাণীর অর্থ হচ্ছে এই যে, অভিভাবক বিধবা নারীর বিয়ে তার (শাব্দিক) সম্মতি এবং নির্দেশনা ব্যতীত দিবে না। যদি তার শাব্দিক সম্মতি ছাড়া বিয়ে প্রদান করে তাহলে তা ভঙ্গযোগ্য।
    قَالَ الْحَافِظُ فِي الْفَتْحِ : حَدِيثُ عَائِشَةَ " أَيُّمَا اِمْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ " حَدِيثٌ صَحِيحٌ ، وَهُوَ يُبَيِّنُ أَنَّ مَعْنَى قَوْلِهِ (أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا) : أَنَّهُ لَا يَنْفُذُ عَلَيْهَا أَمْرُهُ بِغَيْرِ إِذْنِهَا ، وَلَا يُجْبِرُهَا ؛ فَإِذَا أَرَادَتْ أَنْ تَزَوَّجَ لَمْ يَجُزْ لَهَا إِلَّا بِإِذْنِ وَلِيِّهَا . اِنْتَهَى كَلَامُ الْحَافِظِ .
    হাফিয ইবনু হাজার ''ফতহুল বারী'' গ্রন্থে বলেন : আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত ''যে নারীই তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল ...'' এ হাদীসটি সহীহ্। আর এটি নিম্নের হাদীসের ভাবার্থকে ''নারী তার নিজের ব্যাপারে তার অভিভাবকের চেয়ে বেশী অধিকার রাখে'' এভাবে ব্যাখ্যা করছে যে, অভিভাবক তার নিজের সিদ্ধান্ত মেয়ের প্রতি তার সম্মতি ব্যতীত বাস্তবায়ন করতে পারবে না এবং তাকে বাধ্য করতেও পারবে না। আর নারী যদি বিয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত তার জন্য বিয়ে করা জায়েয হবে না।
    ............চলবে...........................।।See More