Tuesday, 2024-04-30, 5:49 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login

My site

Site menu
Calendar
«  April 2024  »
SuMoTuWeThFrSa
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 1
    Guests: 1
    Users: 0

    কিয়ামতের দিন কাফেরদের ঝগড়ার

    আনাস বিন মালেক রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি হাসি দিলেন। তারপর তিনি আমাদের বললেন, তোমরা কি জান আমি কি কারণে হাসলাম? আনাস রা. বলেন, আমরা বললাম আল্লাহ ও তার রাসূ্লই ভালো জানেন। বান্দা তার রবকে সম্বোধন করে যে কথা বলবে, তার কথা স্মরণ করে আমি হাসছি! সে বলবে, হে আমার রব তুমি আমাকে জুলুম থেকে মুক্তি দেবে না। তখন আল্লাহ বলবে অব... শ্যই! তখন বান্দা বলবে আমি আমার পক্ষে মাত্র একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো আল্লাহ বলবে আজকের দিন তোমার জন্য কিরামান কাতেবীনের অসংখ্য সাক্ষীর বিপরীতে একজন সাক্ষীই যথেষ্ট। তারপর আল্লাহ তা‘আলা তার মুখের মধ্যে তালা দিয়ে দিবে এবং তার অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বলা হবে, তোমরা কথা বল! তখন প্রতিটি অঙ্গ তার কর্ম সম্পর্কে বলবে। তারপর তাকে তার কথা মাঝে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন সে তাদের বলবে তোমাদের জন্য ধ্বংস! আমি তোমাদের জন্যই বিতর্ক ও বিবাদ করছি! [মুসলিম ৬৯৬৯]

    আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন কাফেরদের ঝগড়ার বিবরণ দিয়ে বলেন, "আর যেদিন আমি তাদের সকলকে সমবেত করব তারপর যারা শিরক করেছে তাদেরকে বলব, ‘তোমাদের শরীকরা কোথায়, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে?’ অতঃপর তাদের পরীক্ষার জবাব শুধু এ হবে যে, তারপর তারা বলবে, ‘আমাদের রব আল্লাহর কসম! আমরা মুশরিক ছিলাম না’। দেখ, তারা কীভাবে মিথ্যা বলেছে নিজদের উপর, তারা যে মিথ্যা রটনা করত, তা তাদের থেকে হারিয়ে গেল”। [সূরা আনআম ২২-২৪]

    আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নূহ আ. ও তার উম্মতরা আল্লাহর দরবারে আসবে তখন আল্লাহ তা‘আলা নুহকে জিজ্ঞাসা করবে তুমি তাদের দাওয়াত দিয়েছ? বলবে হা হে আমার রব! তারপর উম্মতদের জিজ্ঞাসা করা হবে তোমাদের নিকট কি দাওয়াত দিয়েছে? তার বলবে না হে আমাদের প্রভু! আমাদের নিকট কোন নবী আসেনি। তখন আল্লাহ তা‘আলা নূহ আ. কে বলবে হে নূহ, তোমার পক্ষে কে সাক্ষ্য দেবে? তখন সে বলবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার উম্মতেরা। তারপর আমরা সাক্ষী দেব যে, সে তার উম্মতদের পৌঁছিয়েছে। আর তা হল, আল্লাহ তা‘আলার বাণী: "আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানুষের উপর সাক্ষী হও এবং রাসূল সাক্ষী হন তোমাদের উপর”। [সূরা বাকারাহ ১৪৩

    হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমান জমিতে যুলুম করল (জবর দখল করে নিল) কিয়ামতের দিন তার গলায় মহান আল্লাহ সাত তবক জমিন পড়িয়ে দিবেন” - (বুখারী ও মুসলিম)
    কেয়ামতের পূর্বে ফেৎনা বৃষ্টি ফোটার ন্যায় প্রকাশিত হবে

    عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: أَشْرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى قَالُوا لَا قَالَ فَإِنِّي لَأَرَى الْفِتَنَ تَقَعُ خِلَالَ بُيُوتِكُمْ كَوَقْعِ الْقَطْرِ . [رواه البخاري: 21/450 كباب الفتن, باب- قول النبي ويل للعرب]
    ওসামা ...বিন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মদীনার টিলাসমূহের মধ্যে কোন একটি টিলার উপর আরোহন করে বললেন: আমি যা দেখছি, তোমরা কি তা দেখছো? (সাহাবাগণ) বললেন: না। তিনি বললেন: আমি তোমাদের ঘরসমূহে ফেৎনা বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায় পতিত হতে দেখছি। [বুখারী: ২১/৪৫০, কিতাবুল ফিতান, বাব- কাওলুন নবী ওয়াইলুন লিল আরব।
    কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনাঃ-

    ইমরান ইবন মায়সারা (র)....আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞতার বিস্তৃতি ঘটবে, মদপান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার ছড়িয়ে পরবে।
    (বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড, হাদিস নং-৮০, ইলম অধ্যায়)

    মুসাদ্দাদ (র)...আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তোমাদের এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব... যা আমার পর তোমাদের কাছে আর কেউ বর্ণনা করবে না। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পরবে, স্ত্রীলোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, এমনকি প্রতি পঞ্চাশজন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে তত্ত্বাবধায়ক।
    (বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড, হাদিস নং-৮১, ইলম অধ্যায়)

    মাক্কী ইবন ইবরাহীম (র)......আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা) বলেনঃ (শেষ যামানায়) ইলম তুলে নেয়া হবে, অজ্ঞতা ও ফিতনার প্রসার ঘটবে এবং 'হারাজ' বেড়ে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! 'হারাজ' কি? তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ 'এ রকম'। যেন তিনি এর দ্বারা 'হত্যা' বুঝিয়েছিলেন।
    (বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড, হাদিস নং-৮৫, ইলম অধ্যায়)

    ইসমাঈল ইবন আবু উওয়ায়স (র)...আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলাল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা'আলা বান্দার অন্তর থেকে ইলম বের করে উঠিয়ে নেবেন না, বরং আলিমদের উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেই ইলম উঠিয়ে নেবেন। যখন কোন আলিম বাকী থাকবে না তখন লোকেরা জাহিলদেরই নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা না জেনেই ফতোয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও গোমরাহ হবে, আর অপরকেও গোমরাহ করবে। ফিরাবরী (র) বলেন, আব্বাস (র)......হিশাম সুত্রেও অনুরুপ বর্ণিত আছে।
    (বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড, হাদিস নং-১০১, ইলম অধ্যায়)

    আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে হিদায়েত দান করুন। আমীন।
    নবী করীম (ছাঃ) বলেন, দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না। আর তা হচ্ছে-

    ১. ধোঁয়া, যা পূর্ব হ’তে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এক নাগাড়ে চল্লিশ দিন বিস্তৃত থাকবে।
    ২. দাজ্জাল বের হবে।
    ৩. চতুষ্পদ জন্তু বের হবে।
    ৪. পশ্চিমাকাশ হ’তে সূর্য উদিত হবে।

    ৫. ঈসা ইবনু মারিয়াম আকাশ হ’তে অবতরণ করবেন।
    ৬. ইয়া‘জূজ মা‘জূজ বের হবে।
    ৭. পূর্বাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
    ... ৮. পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
    ৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধস হবে।

    ১০. সবশেষে ইয়ামান হ’তে এমন এক আগুন বের হবে যা মানুষকে তাড়িয়ে একটি সমবেত হওয়ার স্থানে নিয়ে যাবে। অপর এক বর্ণনায় আছে, আদন (এডেন)-এর অভ্যন্তর হ’তে আগুন বের হবে। যা মানুষকে সমবেত হওয়ার স্থানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।

    অপর এক বর্ণনায় দশম লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এমন বাতাস প্রবাহিত হবে, যে বাতাস কাফেরদের নিক্ষেপ করবে।(২) আর বিশেষ করে ক্বিয়ামত তখনই সংঘটিত হবে যখন যমীনে ‘আল্লাহ, আল্লাহ বলার কোন মানুষ থাকবে না’।(৩) যখন মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করবে না, তাঁর দাসত্ব করবে না তখনই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।

    কারণ আল্লাহর যিকির ও ইবাদত হচ্ছে দুনিয়ার স্থায়ীত্বের প্রমাণ। আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার মধ্য থেকে নেক আমলকারী ব্যক্তি ও সৎ, ঈমানদার ব্যক্তিদের উঠিয়ে নিবেন এবং খারাপ ও নিকৃষ্ট মানুষের উপর ক্বিয়ামত সংঘটিত করবেন।(4)

    ২. মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬২৩০।
    ৩. মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৮২।
    ৪. মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮৩।