Tuesday, 2024-04-30, 4:37 AM
Welcome Guest | Sign Up | Login

My site

Site menu
Calendar
«  April 2024  »
SuMoTuWeThFrSa
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 1
    Guests: 1
    Users: 0

    মায়ের গর্ভে চার মাসের ছোট্ট দেহে

    বায়ু সর্বদা প্রবাহিত হয়, পানি সবকিছুকে ভিজিয়ে দেয়, আগুন সবকিছুকে জ্বালিয়ে দেয়, এগুলিই ওদের ধর্ম। ওরা নীরবে ওদের ধর্ম মেনে চলে, যতক্ষণ না সৃষ্টিকর্তার অন্য কোন হুকুম আসে। যেমন আগুন ইবরাহীমকে পোড়ায়নি, নদী ইউনুসকে ডুবিয়ে মারেনি। বায়ু সুলায়মানক... ে উল্টে ফেলে দেয়নি। কিন্তু মানুষ?

    মায়ের গর্ভে চার মাসের ছোট্ট দেহে তার অদৃশ্য রূহটি প্রবেশ করল। ৯ মাস সেখানে থেকে পুষ্ট হয়ে তিন পর্দার গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে দুনিয়ায় ভূমিষ্ট হ’ল। আস্তে আস্তে বড় হ’ল, জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়ল। চিন্তা এল। কে তাকে সৃষ্টি করল? কেন করল? কি করবে সে এখন? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে চিন্তার হাযার গলির মধ্যে ঢুকে পড়ল। জড়বাদী গলি, নাস্তিক্যবাদী গলি, বস্ত্তবাদী গলি, যুক্তিবাদী গলি, ধর্ম নিরপেক্ষ গলি, অদৃষ্টবাদী গলি, মুক্তবুদ্ধি গলি ইত্যাদি।

    এতগুলি চিন্তার সড়ক ও গলিপথ ঘুরতে ঘুরতে সে এক সময় বুদ্ধিহত হবার উপক্রম হয়। কিন্তু প্রশ্নের জওয়াব সে খুঁজে পায়না। ওদিকে সে এগিয়ে চলেছে জীবন নাট্যের শেষ অংকের দিকে। কেননা দেহ চলে তার নিজস্ব ধর্মে, তার সৃষ্টিকর্তার বিধান মতে।

    এদিকে আমার স্বাধীন চিন্তাশক্তি আমাকে স্থির থাকতে দিচ্ছে না। কখনো আমি আস্তিক, কখনো আমি নাস্তিক, কখনো অসীলাপূজারী, কখনো সংশয়বাদী, কখনো দিশেহারা। অবশেষে জীবন সৈকতে দাঁড়িয়ে আমি এখন নিশ্চিত হয়েছি যে, সূচনা ও লয়-এর পিছনে নিশ্চয়ই কোন সত্তা আছেন, যিনি চিরঞ্জীব, যিনি সবকিছু করছেন অদৃশ্যে থেকে, তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনা অনুযায়ী।

    যিনি স্রষ্টা। তাই সৃষ্টির চর্মচক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। যে রূহটি বিগত ৬০/৭০ বছর সর্বদা আমার সাথে আমার দেহে বিরাজ করছে, তাকে আজও আমি দেখতে পাইনি। কিন্তু ওটা যে আছে এবং ওটা যে জীবন্ত, তার প্রমাণ তো আমি নিজেই। অনুরূপভাবে স্রষ্টা যে আছেন, অসংখ্য সৃষ্টিই তার প্রমাণ। যিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ও বিধানদাতা। যিনি আদি, যিনি অন্ত, যিনি সকল শক্তির আধার ও সকল কিছুর ধারক। 

     আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন নেককার সন্তান যখন স্বীয় মাতা-পিতার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকায় তখন আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে তার আমলনামায় একটি মকবুল হজ লিপিবদ্ধ করে দেন। সাহাবিগণ আরয করলেন, যদি সে দৈনিক একশতবার এভাবে তাকায়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ” (প্রত্যেক দৃষ্টির বিনিময়ে সে এই সাওয়াব পেতে থাকবে) আল্লাহ অতি মহান, অতি পবিত্র তাঁর ভাণ্ডারে কোন অভাব নেই।

    {মশকাতুল মাসাবীহ, আদব, অনুঃ সৎকাজ ও সদ্ব্যবহার, পৃ.৪২১ (বায়হাকী বরাত)}