Tuesday, 2024-04-30, 8:36 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
হত্যা করলেহযরত আয়েশা (রা) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মৃত্যু যন্ত্রণার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পাশে চামড়া অথবা লাকরির একটি ছোট্ট পানি ভর্তি পাত্র ছিল। তিনি প্রায়ই তাঁর হস্তদ্বয় এই পাত্র থেকে ভিজিয়ে মুখমণ্ডল মুছিয়ে দিতেন আর বলতেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ! মৃত্যু যন্ত্রণা বড়ই কঠোর। - (বুখারি)
নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা ক
রল’ (মায়েদাহ ৩২)। তি... নি আরো বলেন, وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِناً مُّتَعَمِّداً فَجَزَآؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِداً فِيْهَا وَغَضِبَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَاباً عَظِيْماً- ‘আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, যেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার প্রতি আল্লাহর গযব ও অভিসম্পাত এবং তিনি তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন’ (নিসা ৯৩)। See More মানবাধিকার ও ইসলাম : ‘নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা ক... রল’ (মায়েদাহ ৩২)। তিনি আরো বলেন, وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِناً مُّتَعَمِّداً فَجَزَآؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِداً فِيْهَا وَغَضِبَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَاباً عَظِيْماً- ‘আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, যেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার প্রতি আল্লাহর গযব ও অভিসম্পাত এবং তিনি তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন’ (নিসা ৯৩)। মানব হত্যার সূচনা : মানব ইতিহাসে হত্যার সূচনা হয় আদম (আঃ)-এর পুত্র কাবীল কর্তৃক হাবীলকে হত্যার মধ্য দিয়ে। কুরবানী কবুল হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শয়তানের প্ররোচনায় কাবিল তার সহোদর ভাই হাবিলকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পরে কাবিল তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছিল। কিন্তু অন্যায়ভাবে হত্যাকান্ড ঘটানোর জন্য পৃথিবীতে সংঘটিত অন্যায় হত্যাকান্ডের পাপের একটা অংশ তার উপর বর্তাবে। এ সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অন্যায়ভাবে কোন মানুষ নিহত হ’লে তাকে খুন করার পাপের একটা অংশ আদম (আঃ)-এর প্রথম পুত্র কাবিলের আমলনামায় যুক্ত হয়। কেননা সেই প্রথম হত্যার সূচনা করে’। [বুখারী হা/৩৩৩৫; মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২২১] তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মান হানি বা অন্য কোন প্রকারের যুলুম করেছে, সে যেন তার থেকে আজই তা মিটিয়ে নেয়। সেই দিন আসার আগে যেদিন তার নিকটে দীনার ও দিরহাম (স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা) কিছুই থাকবে না। যদি তার নিকটে কোন সৎকর্ম থাকে, তার যুলুম পরিমাণ নেকী সেখান থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি কোন নেকী না থাকে, তাহ’লে মযলূমের পাপ সমূহ নিয়ে যালিমের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। [বুখারী, হা/২৪৪৯; মিশকাত ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, যুলুম অনুচ্ছেদ, পৃঃ ২১ ] হত্যা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হুঁশিয়ারী : মিকদাদ ইবনে আমর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসূল! আমি যদি একজন অমুসলিম কাফির ব্যক্তির সম্মুখীন হই, আর সে তার তরবারির আঘাতে আমার একটি হাত কেটে ফেলে। পরে সে একটি বৃক্ষের আশ্রয়ে বলতে থাকে, ‘আমি ইসলাম কবুল করেছি, আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি- এই কথা বলার পর আমি কি তাকে হত্যা করব? রাসূল (ছাঃ) বললেন, না, তুমি তাকে হত্যা করবে না। রাবী বললেন, হে রাসূল (ছাঃ)! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলে ঐ কথা বলেছে। তবুও কি আমি তাকে হত্যা করব না? রাসূল (ছাঃ) বললেন, না, তুমি তাকে হত্যা করবে না। তুমি যদি তাকে হত্যা কর, তাহ’লে তাকে হত্যা করার পূর্বে তুমি যে অবস্থায় ছিলে, হত্যার পর সেই অবস্থায় ফিরে যাবে। আর সে যা বলছে, তা বলার পূর্বে সে যে অবস্থায় ছিল, তুমি সে অবস্থায় পৌঁছে যাবে’। [বুখারী হা/৪০১৯; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৪৪৯] অর্থাৎ তুমি তাকে হত্যা করলে হত্যা করার পূর্বে মুসলিম হিসাবে তোমার যে মর্যাদা ছিল, সে সেই মর্যাদা লাভ করবে। আর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার আগে তার যে স্তর ছিল, তুমি সেই স্তরে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ মুসলিমকে হত্যার কারণে তোমাকে কিছাছের দন্ড হিসাবে হত্যা করা ওয়াজিব হবে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |