Tuesday, 2024-04-30, 7:54 AM Welcome Guest | Sign Up | Login |
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
My site | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
নামাজে বুকের উপর হাত বাদারাসুল (সঃ) হাত নাভীর উপরে অর্থাৎ বুকের উপরে হাত বেঁধে নামায পড়তেন। (বুখারি ১ম খন্ড ১০২ পৃঃ, মুসলিম শরাহ ইমাম আন-নববী ১ম খন্ড-১৭৩ পৃঃ, সহিহ ইবনে খুযাইমা ১ম খন্ড ১২৩ পৃঃ, আবু দাউদ ১ম খন্ড ১১০ পৃঃ, তিরমিযি ৩৪-৩৫ পৃঃ, ইবনু মাজাহ ৫৯ পৃঃ মিশকাত ৭৫ পৃঃ, মুয়াত্তা মুহাম্মদ ১৬০ পৃঃ)
ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে ছিনার উপরে রাখতেন (সহিহ ইবনে খুযাইমা-২০ পৃঃ, আবু দাউদ মারাসিল-৬ পৃঃ) লোকেরা ডান হাত বাম হাতের যেরার উপর রাখতে আদিষ্ট হতেন (বুখারি ১০২ পৃঃ), নামায আদায় করার সময় তোমরা হাত বাঁধবে বুকের উপর (আবু দাউদ ১ম খন্ড হাঃ ৭৫৮), সাহাবী ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ) বলেন যে, রাসুল (সঃ) কিভাবে সালাত কায়িম করেন, তা দেখার জন্য আমি রাসুল (সঃ) এর সালাতের দিকে তাকালাম, রাসুল (সঃ) দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলে হস্তদয় কান পর্যন্ত উঠালেন এবং ডান হাত বাম পাঞ্জার রোসগ ও সায়েদের উপর রাখলেন (নাসায়ী ১৪১ পৃঃ), রোসগ অর্থ হাতের কব্জী এবং সায়েদ অর্থ কব্জী হতে কনুই পর্যন্ত । সাহাবী তাউস (রাঃ) বলেন, রাসুল (সঃ) সালাতের অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে, অতঃপর মজবুত করে বুকের উপর ধারণ করলেন (মারাসিলে আবু দাউদ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৩১৬ পৃঃ), কামিসাহ ইবনুহ হুলব (রাঃ) তার পিতা হতে উদ্ধৃতি করে বলেন যে, আমি রাসুল (সঃ) কে সালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে হস্তদয় বুকের উপর ধারণ করতেন (মুসনাদে আহমাদ, তুহফাতুল আহওয়াযী ১ম খন্ড ২১৬ পৃঃ), সিনার উপর হাত রাখার আরো দলিল দেখুন (বুলগুল মারাম ২০ পৃঃ, মুসলিম শরাহ ইমাম আন-নববী ১ম খন্ড-১৭৩ পৃঃ, তোহফা শরাহ তিরমিযী ১ম খন্ড ২১৫ পৃঃ, মিসখুল খেতাম ১ম খন্ড ২১৫ পৃঃ, তাফসিরে কাবির ৮ম খন্ড ৬৩৫ পৃঃ, তাফসীরে মা’আলেমুত তানযীল ৯৯৭ পৃঃ, তাফসীরে খাযেন ৭ম খন্ড ২৫৩ পৃঃ), নাভীর উপর বা বুকের উপর হাত বাঁধার আরও দলিল দেখুন (মিশকাত- মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৭৪১-৭৪২, মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৭৪১-৭৪২, বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল . হক ১ম খন্ড হাঃ ৪৩৫, সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৬৯৬, সহিহুল বুখারী তাওহীদ পাবলিকেশান্স ১ম খন্ড হাঃ ৭৪০, বুখারী শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৭০২; মুসলিম শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৮৫১; আবু দাউদ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৫৯; তিরমিযী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ২৫২; জামে তিরমিযী মাওলানা আব্দুন নূর সালাফী ১ম খন্ড হাঃ ২৪৪) হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব হিদায়াহ ইউসুফি প্রেসের ছাপা রাবে সিফাতুস সালাত ১ম খন্ড, হাশিয়া ৮৬ পৃঃ আছে- সালাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধার হাদিস যঈফ এবং তার যঈফ দুর্বলতা সম্বন্ধে মুহাদ্দীসগণ সকলেই একমত । আরও স্মরনীও যে, আলা সদরিহী বুকের উপর হাত বাঁধার অনেক হাদিস রয়েছে সালাতে বুকের উপর হাত বাঁধা সম্পর্কে সহীহ হাদীস সমূহ : (১) সাহল বিন সা’দ (রাঃ) বলেন, "লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত যেন তারা সালাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখে ।” (বুখারী, অধ্যায় আজান, ১/১০২পৃষ্ঠা, আরবী ; বুখারী, হাদীস নং ৭৪০, তাওহীদ পাবলিকেশন্স) মূল হাদীসে বর্ণিত ‘যিরাআ’ শব্দের অর্থ কনুই থেকে মধ্যমা আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হাত (আল-মুজামুল ওয়াসীত্ব)। (২)ওয়ায়িল বিন হুজর(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি দেখেছেন, "নবী করীম (সাঃ) সালাত শুরুর মুহূর্তে তাঁর দুহাত তোলেন…’ অতঃপর তিনি তাঁর বাম হাতের উপর ডান হাত রাখেন ।”(মুসলিম, ১/১৭৩পৃষ্ঠা, আরবী ; মুসলিম, ২য় খন্ড, হাদীস নং ৮৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন) (৩)ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) বলেন, "আমি নবী (সাঃ)-এর সাথে সালাত আদায় করেছি । তিনি তাঁর বাম হাতের উপর ডান হাত স্বীয় বুকের উপর রাখলেন ।” (সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, হাদীস নং ৪৭৯; আবূদাঊদ, হাদীস নং ৭৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন্স) (৪)হুলব আত-তাঈ (রাঃ) বলেন, "আমি নবী (সাঃ)-কে বাম হাতের জোড়ের (কব্জির) উপরে ডান হাতের জোড় স্বীয় বুকের উপরে রাখতে দেখেছি ।”(মুসনাদে আহমাদ ; তিরমিযী ৫৯পৃষ্ঠা, আরবী ; তিরমিযী, ১ম খন্ড, হাদীস নং ২৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন) (৫)ওয়ায়িল বিন হুজর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিভাবে সালাত আদায় করতেন, তা আমি অবশ্যই দেখব । তাই আমি তাঁর প্রতি লক্ষ্য করলাম । তিনি দাঁড়িয়ে কান পর্যন্ত দু’হাত তুলে ‘আল্লাহুআকবার’ বললেন । অতঃপর তাঁর ডান হাত বাম হাতের পিঠ, কব্জি, ও প্রকোষ্ঠের (হাতের রলা) উপর রাখলেন ।”(নাসাঈ, ১/১৪১পৃষ্ঠা,আরবী; আবূদাঊদ, হা/৭২৭) আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘বুকের উপর হাত রাখাটাই সহীহ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত । এছাড়া অন্য কোথাও রাখার হাদীস হয় দুর্বল, না হয় ভিত্তিহীন ।’ (সিফাতু সালাতিন নবী(সাঃ), বাংলা অনুবাদ- আকরামুজ্জামান, ৭১পৃষ্ঠা, ফুটনোট) বিশদভাবে জানতে দেখুন : (১)মাসিক আত-তাহরীক, মে ২০০৪, ১০-১৫পৃষ্ঠা (রাজশাহী, বাংলাদেশ); (২)সহীহুল বুখারী ১ম খন্ড, ৩৫৭-৩৬০পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৪০ ও ফুটনোট (তাওহীদ পাবলিকেশন্স, বংশাল, ঢাকা-১১০০) আমি যখন শুনি তখন পড়ি না, তবে যখন শুনি না যেমন আসর, মাগরিবের ৩ রাখাত, জুহুর, এশার ৩ ও ৪ রাখাত, এই সময়ে পড়ে নেই, কিন্তু যখন ইমামের মুখে শুনি তখন পড়ি না, এই মত টা ইমাম শাফি(রঃ) আমার কাছে ভাল লেগেছে। তবে পরা ভাল। আর এটা করলেও সমস্যা নেই, কারন যখন শুনি তখন সেটা পরার সমতুল্য, মাসাল্লাহ, হুম এটা খুব ভাল। আর আমি যেটা বললাম এটা দ্বিতীয় মত, তহ পড়া ভাল, আমি অনেক সময় ইমাম পড়ে নিলে তারপর নিজে পড়ি, আপনি কি সাথে সাথে পরেন, নাকি ইমাম সূরা ফাতিহা শেষ করলে আপনি শুরু করেন?
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Copyright MyCorp © 2024 |